মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল গ্রামে ঈদের পূর্বে মসজিদ কমিটির উত্তোলিত টাকার হিসাব চাওয়ার ঘটনা নিয়ে বিরোধের জেরে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হওয়ার ছয় দিন পর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাগুরা জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদস্য মুন্সী মিরান হোসেনের (৪৩) মৃত্যু হয়েছে।
যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুব্ধরা শনিবার রাতে হামলায় জড়িত ওই মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি, স্থানীয় বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য জামিরুল ইসলাম ধলার নাকোল গ্রামের বাড়িতে আগুন দিয়েছে।
অন্যদিকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাগুরা জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াসিকুর রহমান কল্লোলের নেতৃত্বে ছাত্রদল, যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা মাগুরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে মাগুরা সদর থানার সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া শ্রীপুর সদর, দারিয়াপুর ইউনিয়নসহ মহম্মদপুরে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল বের করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ রাত ৯টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার নাকোল মল্লিকপাড়া জামে মসজিদে মুসল্লিদের কাছ থেকে আদায়কৃত টাকার হিসাব নিয়ে মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য জামিরুল ইসলামের সঙ্গে জেলা যুবদল নেতা মিরান হোসেনের বাগবিতণ্ডা হয়।
এ সময় জামিরুল সমর্থিতরা মিরান হোসেনের ওপর লাঠিসোঁঠা নিয়ে পেছন থেকে হামলা চালান। মাথায় লাঠির আঘাতে মিরান গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়। দীর্ঘ ছয় দিন সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মিরানের মৃত্যুতে মাগুরার রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইদ্রিস আলী বলেন, মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টিএ