মশা নিধনসহ নানা স্বাস্থ্যপরিষেবা নিশ্চিতে জরুরি ভিত্তিতে ২০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়। কিন্তু শহরাঞ্চলের চিত্র ভিন্ন। দরিদ্র মানুষ ও বস্তিবাসী প্রায়ই ব্যয়বহুল বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিতে বাধ্য হয়। তার ওপর জনসংখ্যার ঘনত্ব, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দ্রুত নগরায়নের কারণে ডেঙ্গু, সংক্রামক এবং অসংক্রামক রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ২০ কোটি ডলার অনুমোদন করা হয়েছে।
প্রকল্পটির আওতায় আড়াই লাখের বেশি নারী গর্ভাবস্থায় কমপক্ষে চারটি চেকআপ গ্রহণ করবেন। এ ছাড়া এটি পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও প্রতিরোধমূলক পরিষেবাগুলোর ওপর ফোকাস করবে। যেমন- মশা নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মানব স্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তন, বায়ুদূষণ।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন অফিসার এবং প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার ইফফাত মাহমুদ বলেন, মশাবাহিত এবং সংক্রামক রোগের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়। যেহেতু মশার জীবনচক্র জলবায়ু পরিস্থিতির দ্বারা প্রভাবিত হয়, প্রকল্পটি মশা নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাগারকে শক্তিশালী করবে।
বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে, অর্থায়নটি বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে এসেছে।
খুলনা গেজেট/কেডি