বর্ষিয়ান অভিনেত্রী মিনু মমতাজ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটায় রাজধানীর গ্রীন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। হাসপাল কর্তৃপক্ষের বরাতে তার মৃত্যৃর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। সেই সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে টাকা বকেয়া আছে বলে কেউ তার লাশ নিতে আসছে না।
হাসপাতাল সূত্র জানায় জয়নব হাবিব ওরফে মিনু মমতাজ দুপুরে মারা গেলেও তার মরদেহ পড়ে আছে হাসপাতালের মর্গে। কারণ হাসপাতালের প্রায় ৩ লাখ টাকা বিল বাকি রয়েছে। বিল পরিশোধ করতে হবে শুনেই তার সন্তানেরাও তার লাশ নিতে আসছেনা।
হাসপাতালটির কাস্টমার কেয়ার থেকে মনিরুজ্জামান বলেন, ‘গেল ৪ সেপ্টেম্বর উনাকে হাসপাতালে করোনা সন্দেহে ভর্তি করা হয়। টেস্ট করা হলে করোনা পজিটিভ আসে। এরপর তাকে করোনা ইউনিটে বিশেষ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। চিকিৎসা বাবদ বেশ মোটা অংকের বিল বাকি। সেটা পরিশোধ করা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। বিষয়টা বেদনাদায়ক। তবে উনার আত্মীয় স্বজনরা যোগাযোগ করেছেন আমাদের সঙ্গে। আমরাও বিল কাটছাট করে মিনু মমতাজের মরদেহ আত্মীয় স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করছি।’
রাতে অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম হাসপাতালে গিয়েছিলেন বলে হাসপাতালের হিসাব রক্ষণ বিভাগের একজন প্রতিনিধি জানান। তিনি বলেন, শহীদুজ্জামান সেলিম হাসপাতালের ম্যানেজারের সঙ্গে বিলের বিষয়ে কথা বলে গেছেন। তিনি সকালে আসবেন বলে জানিয়ে গেছেন।
তবে গণমাধ্যমে কাছে মরদেহ গ্রহণের বিষয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের প্রতিনিধিরা কোনও মন্তব্য করতে নারাজ আপাতত। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিবেন তারা।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে টিভি নাটকে অভিনয় করছেন মিনু মমতাজ। কয়েক বছর ধরেই ডায়বেটিস ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। চলতি মাসের শুরুর দিকে নাটকের শুটিংয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে কয়েকদিন তাকে আইসিইউতেও রাখা হয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে ৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন।
খুলনা গেজেট/এআইএন