অভয়নগরে মরিচ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন উপজেলা প্রেমবাগ ইউনিয়নের বনগ্রামের ওহাব আলী বিশ্বাস। তিনি চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও জমি চাষের উপযোগী মরিচ চাষ করে বেশ ভালো ফলন পেয়েছেন। ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি বাজারে মরিচের দাম ভালো পেয়ে আর্থিকভাবে বেশ লাভবানও হয়েছেন তিনি।
জানা যায়, ওহাব আলী অন্যান্য ফসলের চেয়ে মরিচ চাষে দাম ভালো ফল পেয়ে এ চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হওয়ায় আরও বেশি মরিচ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এ অঞ্চলের কৃষক। ফলে জেলার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় মরিচ বাজারজাত করে বিপুল অংকের অর্থ উপার্জনে আশাবাদী। এখানকার মাটি মরিচ চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী হওয়ায় ফসল হিসেবে মরিচের চাষ করে আসছেন।
কৃষক ওহাব আলী বিশ্বাস বলেন, আমার এক বিঘা জমিতে মরিচ উৎপাদনে খরচ পড়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। মরিচ বীজ রোপণের ৪৫ থেকে ৫৫ দিনের মধ্যে মরিচ তোলা যায়। বিপরীতে প্রতি মণ মরিচের গড় বাজারমূল্য ৪ হাজার টাকা হিসাবে তারা উপার্জন করেন। এতে ৩ লাখ টাকার বেশি বিক্রি করেছি আরও ১ লাখ টাকা বিক্রি করা যাবে এ আশা করছি। আমি কয়েক বছর ধরে মরিচ চাষ করে সুফল পেয়ে আসছি। কিন্তু উপজেলা কৃষি অফিস থেকে যদি সহযোগিতা পায়, তাহলে আমি অধিক জমিতে এ জাতের মরিচ চাষ করবো। বিশেষ করে মরিচ গাছের গোড়া ও পাতা পচনের জন্য কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ পেলে ভাল হত। তার চাষ দেখে ওই এলাকার ওমর ফারুক নামের এক কৃষক তার ২ বিঘা জমিতে বল্টু জাতের মরিচ লাগিয়েছেন। তিনি কল্পনা ও করতে পারেনি যে এত বেশি বাম্পার ফলন হবে।
ওমর ফারুক বলেন, এ মরিচ পচে কম, ঝাঁঝও বেশি। বাজারে চাহিদাও বেশি। ৬ মাসের মাথায় ফলন পেয়ে পর্যায়ক্রমে ২ লাখ টাকা বিক্রয় করেছি। আরো দেড় লাখ টাকা বিক্রয় করবো।
স্থানীয় কয়েকজন চাষিরা জানান, এখানে উৎপাদিত মরিচ উন্নতমানের হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে মরিচ পাঠানো হয় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। সহজ শর্তে ঋণ ও উন্নত প্রশিক্ষণ পেলে আরও বেশি পরিমাণে মরিচ উৎপাদন করা সম্ভব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সামদানি বলেন, এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া মরিচ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তবে আমি ওহাব আলীর মরিচ চাষ দেখতে পরিদর্শনে যাব। সে যদি প্রান্তিক চাষি হয় তাকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে এবং আগামীতে উপজেলায় মরিচের চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করছি।
খুলনা গেজেট/এনএম