মণিরামপুরে প্রেমজ সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ের ৩ মাসের মাথায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক নববধূসহ ২ জনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
দুই জনের পৃথক মৃত্যুর ঘটনা আত্মহত্যা দাবি করায় পুলিশ প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যু মামলা রুজু করেছে। উপজেলার কুচলিয়া ও দোহকোলা গ্রামে পৃথক এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, প্রেমজ সম্পর্কে জড়িয়ে মণিরামপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের জগদীশ মল্লিকের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কন্যা পূজাকে ৩ মাস পূর্বে বিয়ে করে একই উপজেলার কুচলিয়া গ্রামের মৃত্যুঞ্জয়ের পুত্র আকাশ বিশ্বাস।
শ্বশুর পরিবারের দাবি সংসার করা কালে ২০ আগষ্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে পূজা বিশ্বাস স্বামীর ঘরে আড়ার সাথে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
মণিরামপুর থানার এসআই নাজমুস সাকিব জানান, খবর পেয়ে পূজার মরদেহ উদ্ধার করে ২১ আগষ্ট শুক্রবার হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। তবে, বিয়ের তিন মাসের মাথায় পূজা কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা শ্বশুর পরিবারের কেউ পুলিশকে নিশ্চিত করতে পারেনি। নব গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় তার মরদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে নিহতের শশুর মৃত্যুঞ্জয় বাদী হয়ে আত্মহত্যার দাবি করে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
অপরদিকে, ২১ আগষ্ট শুক্রবার সকালে মণিরামপুরের নেহালপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আতিকুজ্জামান উপজেলার দোহকোলা গ্রামের আব্দুল মজিদ গাজীর পুত্র আশরাফ হোসেন (২৫) এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন।
এসআই আতিকুজ্জামান জানান, নিহতের পরিবার পুলিশের কাছে দাবি করেছে সাড়ে ৩ মাস পূর্বে আশরাফ বিয়ে করে পারিবারিক কলহে জড়িয়ে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের চাচা আবুল কাশেম বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
পৃথক দু’টি মরদেহ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণের বিষয়ে জানতে চাইলে, মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
খুলনা গেজেট/এনএম