বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাস দীর্ঘ ও গৌরবের। এক সময় দেশের ১৩শ সিনেমা হলে প্রতি সপ্তাহে একাধিক সিনেমা মুক্তি পেত। প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখতে দর্শকের দীর্ঘ সারি দেখা যেত। এসব এখন সোনালী অতীত। চলচ্চিত্রের মন্দা অবস্থায় দিনে দিনে সিনেমা নির্মাণ তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা কমে এখন প্রায় ২শ।
তবে দীর্ঘদিন পরে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর শুরু ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘পরাণ’ সিনেমা দিয়ে। এই সিনেমাটি চলচ্চিত্র শিল্পের হাওয়া বদলে দিয়েছে। স্বল্প বাজেটের এই সিনেমাটি মুক্তির তৃতীয় সপ্তাহেও দর্শক পেয়েছে। বর্তমানে ৬০টি হলে প্রদর্শিত হচ্ছে সিনেমাটি। এদিকে অস্ট্রেলিয়ায় ‘পরাণ’ মুক্তির আগেই ৮০ ভাগ টিকিট অগ্রীম বিক্রি হয়েছে বলে জানান এর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য ‘পরাণ’ সুবাতাস বয়ে এনেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
দেশীয় সিনেমায় ব্যবসা নেই একথা মিথ্যা প্রমাণ করেছে ‘পরাণ’। শুধু নিজেরাই ব্যবসায়ীকভাবে সফল হয়েছে তা নয়, ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসায়িক গতি পরিবর্তন করেছে সিনেমাটি। বিশেষ করে ‘হাওয়া’ সিনেমা নিয়েও দর্শকের আগ্রহ রয়েছে। এতে দেশীয় সিনেমার প্রতি দর্শকের আগ্রহ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র বোদ্ধারা।
‘পরাণ’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে লাইভ টেকনোলজি। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইয়াসির আরাফাত জানান, আমাদের হিট কনটেন্ট এটি। এ জন্য সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফি, কলাকুশলী এবং অবশ্যই দর্শকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। দেশের প্রেক্ষাগৃহে যে দর্শক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে, এতে সিনেমাটি হলে আরও অনেক দিন প্রদর্শিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
‘পরাণ’ ‘মনপুরা’র পর নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
ত্রিভুজ প্রেমের ছবি ‘পরাণ’র প্রধান তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরীফুল রাজ, বিদ্যা সিনহা মিম ও ইয়াশ রোহান। পরিচালনা করেছেন রায়হান রাফী।
খুলনা গেজেট / আ হ আ