পাকিস্তানের সংসদ জাতীয় পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শের পর বুধবার মধ্যরাতে সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট। খবর রয়টার্স।
শাহবাজের বর্তমান পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) জোট সরকারের মেয়াদ আগামী ১২ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন দিন আগেই সংসদে ভেঙে দিতে প্রেসিডেন্টর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠান শাহবাজ।
এর আগে সংসদে দেওয়া এক বক্তেব্য প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বলেন, ‘আমি আজ রাতে প্রেসিডেন্টকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেব। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনোনয়নের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে আলোচনা শুরু করব। উভয় পক্ষের সুপারিশ করা প্রার্থীদের মধ্য থেকে প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দেওয়া হবে।’
২০১৮ সালের ১২ আগস্ট তৎকালীন ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের নেতৃত্বে জোট সরকার যাত্রা করেছিল। তবে গত বছর পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান বিদায় নিলে শাহবাজের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) ক্ষমতা গ্রহণ করে।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, স্বাভাবিকভাবে সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬০ দিন পর সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়া হলে নির্বাচন আয়োজনের তারিখ ৯০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
তবে নির্বাচন কমিশন নতুন জনশুমারি অনুযায়ী সংসদীয় এলাকা পুনর্বিন্যাস করার ফলে নির্বাচন আরও কয়েক মাস পেছাতে পারে। বিশ্লেষকরা বলেছেন, নির্বাচন পেছালে চরম অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানে জনরোষ বাড়তে পারে। ফলে দেশের রাজনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে।
এরই মধ্যে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের সাজা ও পরবর্তীতে ইমরান খানের গ্রেপ্তার নিয়ে রাজনীতিতে নতুন সংকট দেখা দিয়েছে। যদিও গত বছর অনাস্থা ভোটে হেরে বিদায় নেওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ইমরান খান। এই দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত ইমরান খানকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
খুলনা গেজেট/ এইচ