নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মধুমতী নদীর ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কয়েকশ পরিবার। তীব্র ভাঙনে ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে আবাদি জমি, ভিটেমাটিসহ সহায় সম্পদ। এমনকি ভাঙনে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের খুঁটিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনকবলিত এসব এলাকার মানুষ প্রতিনিয়ত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায় ভাঙনের এই ভয়াবহ চিত্র।
স্থানীয়রা জানান, একাধিকবার মধুমতী নদীর ভাঙনের শিকার হয়েছেন এখানকার মানুষ। গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড ইউনিয়নের শিয়রবর গ্রামের ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেললেও আবারও ভাঙনে ভেসে যাচ্ছে সেগুলো। যার ফলে ভাঙনের মুখে পড়েছে কয়েকশ পরিবার। তাই ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, মধুমতী নদীর ভাঙনে বাড়ি-ঘর বারবার ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীভাঙনে নিঃস্ব হয়েছি আমরা। ভাঙতে ভাঙতে নদীর কিনারে চলে অনেকের বসতভিটা।
যেভাবে নদীভাঙন শুরু হয়েছে তাতে করে বসতভিটা কখন যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এবার বসতবাড়ি ভাঙলে আর মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকবে না।
ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের তোতা মিয়া জানান, তাদের ৫ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত ৩ বার ভাঙনের শিকার হয়েছেন তিনি। এবারও ভাঙনের দাঁড়প্রান্তে দাঁড়িয়ে। কী করবেন ভেবেই পাচ্ছেন না। তিনি এ ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আশিকুল আলম জানান, মধুমতী নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি, আবাদি জমি, মাদরাসা, মসজিদ ভাঙনের কবলে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে নদীগর্ভে পুরো এলাকা বিলীন হয়ে যাবে। তিনি মধুমতী নদীর ভাঙন রোধে জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, লোহাগড়া উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের ভাঙনরোধে আপাতত কোনো বরাদ্দ নেই। এ কারণে কোনো ধরনের কাজ করতে পারছি না। তবে বরাদ্দ পেলে আগামীতে ওই এলাকায় ভাঙন রোধে কাজ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে