খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ পৌষ, ১৪৩১ | ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আগামী বিজয় দিবসের আগে জুলাই গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করা হবে : আসিফ নজরুল
  সচিবালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার সীমিত : প্রেস উইং
  কুড়িগ্রামে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, যুবদল নেতা নিহত
নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও এএসআইসহ আহত ৫

মণিরামপুরে এমপি ইয়াকুব আলীর অনুষ্ঠানে হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের সংসদ সদস্য এসএম ইয়াকুব আলীর অনুষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে। এতে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রদানকারী ও ডিএসবির এক এএসআইসহ কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হুসাইন, সহকারী পুলিশ সুপার আবু দাউদসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে অভিযান চালান।

স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে গরীব ও দুস্থ রোগীদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের হলরুমে সমাজসেবা অধিদপ্তরের বরাদ্দকৃত চেক বিতরণের অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রধান অতিথি এসএম ইয়াকুব আলীর বক্তব্যের শুরুতে হল রুমের বাইরে হট্টগোল শুরু হয়। এসময় কতিপয় সন্ত্রাসী হলরুমের দরজা ধাক্কাধাক্কি করে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় দরজার কাছে থাকা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম বাপ্পী হুসাইন, আবু সালেহ ও রিয়াদ হোসেনকে মারপিট করে ভেতরে প্রবেশ করে গোলযোগ করে। সন্ত্রাসীরা ভেতরে ঢুকে সংসদ সদস্য এসএম ইয়াকুব আলীর উপর হামলা করতে পারে আশঙ্কায় তার (সংসদ সদস্য এসএম ইয়াকুব আলীর) ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের সাবেক এসআই শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সন্ত্রাসীরা শহিদুল ইসলামকে পেয়ে তাকে বেধড়ক মারধরসহ পদদলিত করে ফেলে দেয়। একই সময় সরকারি কাজে দায়িত্ব পালনকারী ডিএসবির এএসআই ফিরোজ হোসেনকে মারধর করা হয়।

হামলায় আহতরা হলেন যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য এসএম ইয়াকুব আলীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, ডিএসবির এএসআই ফিরোজ হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম বাপ্পী হুসাইন, আবু সালেহ ও রিয়াদ হোসেন। এরমধ্যে নিরাপত্তা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, ডিএসবির এএসআই ফিরোজ হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত অন্যান্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এএসআই ফিরোজ হোসেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংসদ সদস্য এসএম ইয়াকুব আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানে সন্দীপ ঘোষের উপর হামলার বর্ণনা দেন।

হামলাকারীরা সবাই উপজেলা পরিষদের অনুসারী বলে পরিচিত। তবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু দাবি করেন, তার অনুসারীরা এ ঘটনায় জড়িত নয়। বরং প্রতিপক্ষরা তার তিনজন কর্মীকে মারপিট করেছে। তারা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার তন্ময় বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় সংসদ সদস্য ইয়াকুব আলীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, ডিএসবির এএসআই ফিরোজ হোসেনসহ পাঁচজন হাসপাতাল হতে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সংসদ সদস্য এসএম ইয়াকুব আলী বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতির মধ্যে যারা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হতে পারে না। যারাই এ ঘটনায় জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবিএম মেহেদি মাসুদ বলেন, তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনা গেজেট/এএজে

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!