যশোরের মণিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সরদার ও জামায়ত নেতা ইব্রাহীম মাস্টারের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার(১০ মে) প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক। এ ঘটনার পর প্রকাশ্যে তারা তার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া ও খুন করার হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু পুলিশ মামলা নিচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেললার রসুলপুর গ্রামে তার বসতবাড়ি। রসুলপুর মৌজার আর এস ১২১ খতিয়ানভুক্ত ২১২ দাগে ১৪.২৬ শতক জমি ক্রয় করে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করছেন। ওই জমিতে তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ একটি দোকান ঘর, দুটি ছাউনিবিহীন চালাঘর ও বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছেন।
গত ৭ মে রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টচার্য্যরে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সরদার ও জামায়াত নেতা মাস্টার ইব্রাহীম হোসেন অতিথি হিসেবে ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী চলে যাবার পর রাত ৮টার সময় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন, নুরুল ইসলাম ও ইব্রাহীম হোসেনের নেতৃত্বে হামলায় অংশ নেন রসুলপুর গ্রামের শহিদ, শামছুর, আতিয়ার, হাফিজুর রহমান, আব্দুর রহমান, জলিল। ওই সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগ অফিসসহ তার দোকান ও টিনের চালাঘর ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে। তার ৩৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কোন মামলা নিচ্ছে না। ঘটনাটি তদন্ত করলেই সব রহস্য বের হয়ে যাবে। ওইসব সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের দৃর্ষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ এস আই