মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, মঞ্জুরুল ইমাম ছিলেন একজন ন্যায়ের প্রতিপালক। তিনি কখনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতেন না। তিনি সাংঠনিক ভাবেও একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি কোন রক্তচক্ষু বা সন্ত্রাসের সাথে আপোষ করেননি। তিনি সরাসরি অথবা কৌশলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠিন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতেন। তিনি আরো বলেন, মঞ্জুরুল ইমামকে হত্যা করে খুলনার আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করার ষড়যন্ত্র হয়েছিলো। বিএনপি-জামায়াতের সেই ষড়যন্ত্রকে মূলোৎপাটন করে আজ দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের অবসান ঘটানো হয়েছে। আমরা হয়তো মঞ্জুরুল ইমামকে ফিরে পাবো না। কিন্তু মঞ্জুরুল ইমামের রক্তের ধারায় আজ শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের মূলোৎপাটন করেছেন। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মঞ্জুরুল ইমামের শোককে সাংগঠনিক রূপ দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গী তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনাকে ৫ম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী করে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এ্যাড. মঞ্জুরুল ইমামের ২০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা।
সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, নির্বাহী সদস্য কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি চ. ম. মুজিবর রহমান। সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশার পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম বাবলু, কাউন্সিলর এস এম রাজুল হাসান রাজু, কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, কাউন্সিলর রোজী ইসলাম নদী, শেখ জাহিদুল ইসলাম, হাজী মোতালেব মিয়া, মো. জাকির হোসেন, মীর মো. লিটন, জান্নাতুল ফেরদৌস পিকুল, মোজাফফর হোসেন, মোক্তার হোসেন, এ্যাড. এনামুল হক, মো. রুহুল আমীন খান, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, আলী আকবর মাতুব্বর, শিপন চৌধুরী, তোতা মিয়া ব্যাপারী, মেহজাবিন খান, খাজা মঈনু্িদ্দন, কাজী রকিবুল হক পলাশ, মো. রাজ্জাক হোসেন, সোহেল চৌধুরী, মাহবুব মোহাম্মদ, সিদ্দিকুল হক, এ্যাড. আল আমিন উকিল, কবীর পাঠান, বলাকা রায়, নূর জাহান রুমি, সাহানা ভানু, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুর, তামান্না ইসলাম, কাজল পাঠান, মাজহারুল ইসলাম লেলিন, ই¯্রাফিল বিশ্বাস, আশরাফ আলী হাওলাদার শিপন, জাহিদুল ইসলাম অভিসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। শোক সভা শেষে এ্যাড. মঞ্জুরুল ইমামের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা মেজবাহ উদ্দিন।
খুলনা গেজেট/কেডি