লাইভ শো-এর মাঝে তাল কাটল। দর্শকের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ নচিকেতা মেজাজ হারালেন মঞ্চে। পরিস্থিতি এতটাই বিগড়ে যায়, প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন গায়ক, মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে গালিও।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চব্বিশ পরগনা খড়দার একটি ক্লাবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে হিন্দুস্তান টাইমসের মঙ্গলবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
শীতের সন্ধ্যায় জমে উঠেছিল নচিকেতার গানের আসর। মঞ্চে উঠে জনপ্রিয় ‘বৃদ্ধাশ্রম’ গানটি গাইছিলেন তিনি। কিন্তু দর্শক আসনে প্রথম সারিতে বসা এক তরুণের কীর্তিতে রেগে যান গায়ক।
প্রথম সারিতে বসা ওই তরুণ ক্রমাগত নচিকেতার ভিডিও রেকর্ড করছিলেন। সেই কারণেই বিগড়ে যায় শিল্পীর মেজাজ। সামনে উপস্থিত কয়েক শো মানুষের সামনে মোবাইল ফোনকে একটি অশ্লীল শব্দের ডেকে বসেন! গায়ককে বলতে শোনা গেল, ‘ছবি-টবি তুলো না। গান শুনতে এসেছ, গান শোনো, ফটোগ্রাফার তুমি? এখন কার বাচ্চাদের কোনো কাজ নেই। সারাক্ষণ হাতে…নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। না করে পড়াশোনা, না শোনে কথা, কিছুই করে না।’
নচিকেতার সাফ কথা, তিনি এখানে গান গাইতে এসেছেন। কাউকে ছবি তোলার অনুমতি দেননি। নচিকেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘তুমি পার্সোনাল কিসের ছবি তুলছো? আমি কি অনুমতি দিয়েছি? ….আমার অসুবিধা হচ্ছে। বসো না। উঠে দাঁড়িয়ে সবার সামনে কেন ছবি তুলছো? এটা গানকে অবমাননা করা হচ্ছে, কেন বোঝেন না?’
একটা সময় হাল ছেড়ে গায়ক বলেন, ‘কত অ্যারোগেন্ট! আমাকে এখন ওর সামনে দাঁড়িয়ে গান গাইতে হবে। ও ছবি তুলেই যাবে’।
এরপর প্রতিবাদের সুর ভেসে আসে দর্শক আসন থেকে। বিস্ফোরক নচিকেতা এরপর যোগ করেন, ‘সবাই বলবে আজকাল এটাই স্টাইল। তা ঘুষ খাওয়াটাও এখন স্টাইল, তাহলে সেটাও বলুন সবাইকে’।
শিল্পী ও দর্শকের এই বাদানুবাদের মাঝেই মঞ্চ ছেড়ে চলেও যান নচিকেতা। পরে এক ক্লাবকর্মকর্তা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘বড় শিল্পীদের অনুষ্ঠান করাতে আনলে তাদের মর্জিমতো চলতে হয়’। শ্রোতা-দর্শকদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। পরে অবশ্য নচিকেতা ফের গান শুরু করেছিলেন।
গায়কের এই ভিডিও ভাইরাল হতেই দ্বিধাবিভক্ত নেটপাড়া। অনেকেই নচিকেতাকে সমর্থন জানিয়েছেন। লিখেছেন, ‘সত্যি শিল্পীদের সমস্যা হয় চোখের সামনে অজস্র মোবাইল ক্যামেরা ঘুরতে দেখলে’। অনেকেই আবার নচিকেতার আচরণকে অশোভনীয় বলে বর্ণনা করেছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম