গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গল গ্রহে সফলভাবে অবতরণ করে নাসার সর্বাধুনিক রোভার ‘পাসিভিআরান্স’। কিন্তু কেমন আছে এই রোভার? কাজকর্ম কেমন করছে সেখানে? সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে পাসিভিআরান্স।
পাসিভিআরান্সের পক্ষ থেকে নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মঙ্গল গ্রহে প্রাণের ইতিহাস অনুসন্ধান করার পাশাপাশি আবহাওয়া নিয়ে গবেষণার কাজ শুরু করার জন্য বর্তমানে নিজেকে প্রস্তুত করছে পাসিভিআরান্স। প্রস্তুতিমূলক কাজে ব্যস্ত থাকার একাধিক ছবি-ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা। সেখানে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে অসংখ্য হেলথ চেকআউট হয়েছে রোভারের। অর্থাৎ যাবতীয় যন্ত্রাংশ ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার করে দেখে নেওয়া হচ্ছে। রোভার জানান দিয়েছে, সমস্ত কর্মকাণ্ডের জন্য প্রস্তুত।
যন্ত্রাংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি ছবি তোলার কাজ করছে রোভার। ইতিমধ্যে প্রায় ৮ হাজার ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। গতকাল মঙ্গলের মাটিতে নিজের প্রথম টেস্ট ড্রাইভ দিয়েছে পারসিভিআরান্স। পরীক্ষামূলকভাবে ৫ মিটার পর্যন্ত চলাচল করেছে রোভারটি।
মঙ্গলের ‘জেজোরো ক্রেটার’ যে এলাকায় বর্তমানে পারসিভিআরান্স রয়েছে, ওই এলাকাটির আয়তন প্রায় ৪৯ কিলোমিটার। এই জায়গাটিতে কোনো সুবিশাল আগ্নেয়গিরির জন্য বিশালাকার গর্ত বা ক্রেটার তৈরি হয়েছিল। ধারণা করা হয়, এই ক্রেটারের বয়স প্রায় ৩৫০ কোটি বছর। গবেষকদের বিশ্বাস, এই এলাকায় এক সময় হৃদ ছিল, পরে সেটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। তাই মঙ্গলে প্রাণের ইতিহাস সন্ধানে এটি সবচেয়ে সম্ভাবনায় এলাকা। পাসিভিআরান্স এই ক্রেটারে ঘুরে ঘুরে সেই হারিয়ে যাওয়া প্রাণের খোঁজ চালাবে। পাশাপাশি মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়েও গবেষণা করবে। এছাড়া গ্রহটিতে কার্বনডাইঅক্সাইড থেকে অক্সিজেন তৈরির কাজ করবে।
গুরুত্বপূর্ণ এই কর্মযজ্ঞ শুরু করার আগে যাবতীয় যন্ত্রাংশ নড়িয়ে-চড়িয়ে লাল গ্রহে বর্তমানে নিজেকে ওয়ার্মআপ করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে পাসিভিআরান্স।
খুলনা গেজেট/কেএম