রাজধানীর মগবাজারে একটি ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন। তারা সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে জানান তিনি, তবে কমিটির সদস্য কারা সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি।
রোববার (২৭ জুন) রাতে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদেরকে ব্রিফিংয়ের সময় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘৭টা ৩৪ মিনিটে আমরা খবর পাই। আমাদের টিম এখানে আসে। এটি একটি তিনতলা ভবন। এর নিচতলায় ফাস্টফুডের দোকান (শর্মা হাউস), দ্বিতীয় তলায় (ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড) সিঙ্গারের একটি গোডাউন ছিল।’
‘আমরা ধারণা করছি, গ্যাস বা এ জাতীয় কোনো কিছুর মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। আমরা পরীক্ষা করছি। ৩৯ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন। মোট আহত হন ৬০ জনেরও বেশি মানুষ। এই ঘটনায় চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবেন। তখন বিস্তারিত জানা যাবে।’
পুলিশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, শর্মা হাউসে জমে থাকা গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয়ে থাকতে হতে পারে।
এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিস্ফোরণের ঘটনাটি কোনো নাশকতা নয়। এখানে বোমা বিস্ফোরিত হলে বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে বাসসহ আশপাশের লোকজন ক্ষতবিক্ষত হয়ে যেত। এটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায় গ্যাসের বিস্ফোরণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে বিস্ফোরিত ভবনের নিচতলার শর্মা হাউসে গ্যাস জমে ছিল। এ কারণে বিস্ফোরণের সূত্রপাত ঘটতে পারে। এ গ্যাস বিস্ফোরণের কারণে আশপাশের সাতটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তিনটি বাস পুড়ে গেছ।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে জানতে পেরেছি এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তারা চাইলে পুলিশ কমিটিতে থাকবে।’
রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মগবাজারের ওয়্যারলেস গেট এলাকায় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ের শো-রুম লাগোয়া ভবনে এ বিস্ফোরণ ঘটে। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে ১৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই