খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  মার্কিন শ্রম প্রতিনিধি দল ঢাকা আসছে আজ

ভ‌্যাট প্রত‌্যাহা‌রের সুফল মে‌লে‌নি, সয়া‌বিন তে‌লের দাম ফের বাড়ল ‌

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজারে ভোজ্য তেলের সংকট নেই। তারপর ফের বাড়নো হয়েছে সয়াবিন তেলের দাম। কোন ঘোষণা ছাড়াই বৃদ্ধি পেয়েছে এ পণ্যটির দাম। করোনা পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতির চাকা যখন ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টায় নিয়োজিত ঠিক তখনই নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দফায় দফায় মূল্য বৃদ্ধিতে চিন্তিত হয়ে পড়েছে নগরীর নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। তবে এ মূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে খুলনার পাইকার ব্যবসায়ীরা দুষছেন তেলকল মালিকদের।

নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা গেছে, দোকানীরা প্রতিকেজি খোলা তেল ১৯০ টাকায় বিক্রি করছেন। যার গত একসপ্তাহ আগে মূল্য ছিল ১৭৫ টাকা। এক লিটারের তেল সরকার নির্ধারিত দরে বিক্রি করতে পারলেও ব্যবসায়ীরা পাঁচ লিটার তেল সে দরে বিক্রি করতে পারছেনা। প্রতিটি পাঁচ লিটারের একটি বোতল ৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা।

শনিবার (২৩ এপ্রিল) বড় বাজারের পাইকারী খোলা তেল ব্যবসায়ী শেখ মো: শাহ আলম সরদার বলেন, প্রতিদিন এক থেকে দু’টাকা করে বাড়ছে এ পণ্যটির দাম। বাজারে তেলের সরবরাহ বেশী আছে। কিন্তু মিল মালিকরা সংকটের কথা জানিয়ে অতিরিক্ত মূল্যে তাদের কাছে বিক্রি করছেন। গত একসপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিমণ তেলে ৭০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাজার দর সহনীয় রাখতে সরকার টিসিবির মাধ্যমে সুলভমূল্যে তেল বিক্রির ব্যবস্থা করছেন। তারপরও সংকট কাটছেনা। তিনি বলেছেন কালীবাড়ি বাজারে সবার ঘরে তেল আছে। কিন্তু তা বেশী দামে ক্রয় করা। দাম কমাতে খুলনার বাজারে না গিয়ে ঢাকায় মিলগুলোতে অভিযান চালানোর অনুরোধ করেছেন তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বাজারের অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, ভ্যাট প্রত্যাহারের পর ১৮০ টাকার তেল ১৫৮ টাকায় নেমেছিল। কিন্তু কোন প্রকার ঘোষণা ছাড়াই এবার একলাফে ২০ টাকা বাড়ানো হয়েছে এ পণ্যটি দাম । তিনি আরও বলেন, সয়াবিন ফলের উৎপাদন বেড়েছে। কোন সংকট নেই। এরপরও বাড়ানো হল কেন তার কারণ অনুসন্ধান সরকারকে করার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন।

রূপসা বাজারের ব্যবসায়ী মো: নান্টু বলেন, দাম বেড়েছে গত সপ্তাহে। প্রতিকেজি খোলা তেল ১৮৪ টাকায় পাইকারী বাজার থেকে কিনেছেন। পরিবহন খরচ বাবদ তাকে এক টাকা গুনতে হয়। সে হিসেবে এর মূল্য দাড়ায় ১৮৫ টাকা। পাঁচ টাকা লাভ না করলে সংসার বাঁচানো দায় হয়ে পড়বে তার। বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ এখনও স্বাভাবিক হয়নি। প্রতিদিন ৫ কার্টনের পরিবর্তে তিনি ২ কার্টন তেল পাচ্ছেন। যা তার প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। তবে এ পণ্যটির মূল্য স্বাভাবিক হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

একই বাজারের অপর ব্যবসায়ী মো: তাজুল বলেন, খোলা তেলের দাম বেড়েছে। তাই এ পণ্যটি বিক্রি করছেন না তিনি। বোতলজাত তেলের সরবারহ আছে, তবে খুব কম।

সান্ধ্য বাজারে কথা হয় বড় বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী শাহিনের সাথে। তিনি বলেন, গত দু’বছরে করোনার তান্ডবে পুজি হারিয়েছেন। সামনে ঈদ। আয় তেমন নেই। তারপর একের পর এক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি তাকে ভাবিয়ে তুলছে। সরকার যদি আমাদের মতো মধ্যবিত্তের দিকে না তাকায় তাহলে অচিরে না খেয়ে মরতে হবে তাদের মতো মানুষকে।

উল্লেখ্য গত ২০ মার্চ সরকার ভোজ্য তেলের মূল্য নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। সে সময় সরকার এক লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১৬০ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৭৬০ টাকা ও প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!