এখন পর্যন্ত যে সব ধরনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আতঙ্কের নাম ‘ব্রাজিল স্ট্রেইন’।বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এটি অতিসংক্রামক এবং অ্যান্টিবডিকেও গোলকধাঁধায় ফেলতে পারে। এর আবার রকমফেরও রয়েছে। খবর দ্য সান ও ডেইলি মেইলের।
এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের দুটি ধরনের কথা জানা গেছে। এর মধ্যে একটির ব্রিটেনে প্রবেশ সম্পর্কে একপ্রকার নিশ্চিত বিজ্ঞানীদের একাংশ। কিন্তু এখনও সেটি ধরা পড়েনি। করোনাভাইরাসের ক্রমাগত এ মিউটেশন এবং সংক্রমণে চিন্তায় পড়েছে ব্রিটেন, তথা গোটা বিশ্বের ভাইরোলজিস্টরা।
ব্রিটেন স্ট্রেইনের রয়েছে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ ক্ষমতা। তার ওপর দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেইনটিও ধরা পড়েছে ব্রিটেনে। আর এবার শুরু হয়েছে ব্রাজিল-আতঙ্ক।
করোনাভাইরাসের মিউটেশন নিয়ে কাজ করছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ওয়েন্ডি বার্কলে। ‘জিটুপি-ইউকে ন্যাশনাল ভাইরোলজি কনসর্টিয়াম’-এর প্রধান ওয়েন্ডি জানান, ব্রাজিলের যে স্ট্রেইনটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা দানা বাঁধছে, সেটি এখনও ব্রিটেনে ছড়াতে শুরু করেনি। ধরনটির নাম দেওয়া হয়েছে পি-১। এটি সম্প্রতি টোকিওর চারজনের দেহে ধরা পড়ে। তারা ব্রাজিলের আমাজন অঞ্চল থেকে ঘুরে টোকিও ফিরেছিলেন।
জাপানের বিমানবন্দরে করোনা-পরীক্ষায় ধরা পড়ে সংক্রমণ। জাপানের বিজ্ঞানীরা স্ট্রেইনটি নিয়ে পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখেন, অতিসংক্রামক স্ট্রেনটির সঙ্গে ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের মিল রয়েছে। কিন্তু সেটি আলাদা। ওয়েন্ডি বলেন, জাপানে ব্রাজিল-ফেরত পর্যটকদের শরীরে যে স্ট্রেইনটি মিলেছে, সেটি ব্রিটেনে ছড়ায়নি। কিন্তু ব্রাজিলের অন্য স্ট্রেইন ব্রিটেনে ঢুকেছে। গবেষণা করতে গিয়ে তারা দেখেছেন, করোনাভাইরাসের এই স্ট্রেইনটি মানুষের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডিকেও গোলকধাঁধায় ফেলে দিয়েছে।অ্যান্টিবডি আর ভাইরাসটিকে চিহ্নিত করতে পারছে না। ফলে একবার করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগী ফের আক্রান্ত হচ্ছেন। একই ব্যক্তির পুনরায় সংক্রমণ ঘটছে।
ওয়েন্ডি বলেন, ‘ভাইরাসের মিউটেশন নিয়ে একাধিক গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ফলাফল জানা খুবই জরুরি। কারণ পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলাটে হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন