রাতভর বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার পরে সকালের জোয়ারে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে শরণখোলার বলেশ্বর নদী। বুধবার (২৫ মে) সকাল থেকে প্রচন্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে সুন্দরবন ও শরণখোলার মাঝে থাকা প্রমত্তা এই নদীটি।
স্বাভাবিকের থেকে অন্তত তিনফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে এখানে। প্রচন্ড বাতাসের সাথে ৬ থেকে আট ফুট উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ছে বলেশ্বর নদীর তীরে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের ঢালে।
শুধু বলেশ্বর নয় বাগেরহাটের অন্যান্য নদ-নদীও প্রচন্ড উত্তাল রয়েছে। নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য। নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা ও রামপালের কয়েক লাখ মানুষ।
অন্যদিকে বলেশ্বর তীরে শরণখোলা উপেজলার গাবতলা থেকে বগী পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের ভিতরের লোকদের বাড়ছে আতঙ্ক। পূর্ণ জোয়ারে ঝুকিপূর্ণ ওই বাঁধ উপচে ভেতরে পানি প্রবেশ করলে প্লাবিত হবে কয়েক হাজার পরিবার।
বগী গ্রামের ইউপি সদস্য রিয়াদুল পঞ্চায়েত বলেন, রাতের বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার ফলে আমার গ্রামের প্রায় দুইশ মানুষ আশ্রয়ণকেন্দ্রে ছিল। আতঙ্কে রয়েছেন তারা। এখন বলেশ্বর নদীর পানি বাড়ছে, বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে বেড়িবাঁধের উপর। এর থেকে বেশি পানি হলে অরক্ষিত বেড়ি বাঁধের মানুষরা খুব বিপদে পড়ে যাবে।
অন্যদিকে পানগুছি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বিতীয় দিনের মত মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর ও উপজেলা খাদ্যগুদাম চত্বর প্লাবিত হয়েছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের খবর পাওয়ার পরে আমরা নিয়মিত পানির রেটিং করছি। বাগেরহাটের নদ-নদীতে স্বাভাবিকের থেকে ৫৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় সকল বেড়িবাঁধের দিকে আমাদের সতর্ক নজর রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই