স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দেশে অন্তত ১৪ থেকে ১৫ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ রাখার ব্যবস্থা সরকারের হাতে রয়েছে। কাজেই দেশে চার থেকে পাঁচ কোটি ভ্যাকসিন চলে এলে সেগুলো সঠিকভাবে প্রয়োগের কোনো সমস্যা হবে না।’ আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ভ্যাকসিন প্রয়োগ ও বিতরণ সংক্রান্ত একটি সভা শেষে উপস্থিত মিডিয়ার উদ্দেশে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সভায় ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সরকারি হাসপাতালগুলো থেকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। জেলা পর্যায়ের প্রতিটি হাসপাতালে সংরক্ষিত কোল্ড রুমে প্রায় চার লাখ ২৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, প্রতিটি হাসপাতালে পাঁচ থেকে ১০টি আইস ফ্রিজার আছে; যেখানে অন্তত ৭১ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রাখা যাবে। প্রাথমিকভাবে সারা দেশে বর্তমানে সাত হাজার ৩৪৪টি টিম ভ্যাকসিন প্রদানে যুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে ছয়জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করবেন।’
ভ্যাকসিন দিতে কোনো অনিয়ম যাতে না হয় সেজন্য দেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কঠোরভাবে মনিটরিং করবে। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সব তথ্য যেন মানুষ দ্রুত জানতে পারে সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়মিত ভ্যাকসিন বুলেটিন প্রচার করা হবে বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
এদের পাশাপাশি, ভ্যাকসিন দিতে প্রায় ৪২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি অ্যাপস আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তৈরি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
একইসঙ্গে সরকারিভাবে টিকা দেওয়া শুরু করার পর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দেশের বড় বড় বেসরকারি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোও শর্ত সাপেক্ষে ভ্যাকসিন দিতে পারবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ সময় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/কেএম