সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ট্রাক থেকে পণ্য উঠানো নামানো টানা পঞ্চম দিনের মত বন্ধ রয়েছে। ফলে থমকে গেছে সরকারের রাজস্ব আদায় কার্যক্রম। কাঁচামাল ভর্তি ট্রাক আটকে থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্যবসায়িরা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
এদিকে মালামাল খালাসের অপেক্ষায় ভোমরা বন্দরে দীর্ঘ লাইন পড়ে গেছে পণ্যবাহী ট্রাকের। এছাড়া ভারতে ঘোজাডাঙ্গা এলাকায় প্রায় ৬’শ পণ্যবাহী ট্রাক ভোমরা বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় দাড়িয়ে রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২ শতাধিক কাঁচামাল বাহী ট্রাক রয়েছে। ব্যবসায়ীরা দু’বার লেবার বিল দিতে রাজী না হওয়ায় এ অচল অবস্থার তৈরী হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, খুব দ্রুত এসব মালামাল ভোমরা বন্দরে খালাস না করতে পারলে তারা মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হবেন।
ভোমরা স্থলবন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত আমদানি ও রপ্তানিকৃত পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। পণ্য খালাস বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ট্রাক প্রতি লেবার ঠিকাদাররা তাদের বিল দেন ৩শ’ ৮০ টাকা। প্রায় ৪০ টন পণ্য খালাসে এই টাকায় তাদের কিছুই হয়না। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় শ্রমিকদের। এতদিন ট্রাক প্রতি ৫ থেকে ৭শ’ টাকা বকশিস দিতেন ব্যবসায়ীরা। এই বখশিসের টাকা বন্ধ করে দেয়াতে শ্রমিকরা গত বৃহস্পতিবার থেকে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, প্রতি টন পণ্য খালাসে ৭২ টাকা করে পরিশোধ করতে হয় ব্যবসায়ীদের। এরসাথে লেবারদের ট্রাক প্রতি বকশিস দিতে হয় আরো ৫শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। বাড়তি এই বকশিসের টাকা গোনা সম্ভব নয় বিধায় তারা লেবার ডাকা বন্ধ করে দিয়েছেন।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার আমির মাহমুদ জানান, স্বাভাবিক অবস্থায় এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হতো। এ অচল অবস্থার কারনে তা অর্ধেকেরও কমে নেমে এসেছে। তিনি আরো জানান, গত বৃহস্পতিবার, শনিবার ও রবিবার এই তিন দিনে এ বন্দর থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে মাত্র ৪ কোটি টাকা ২৪ লাখ টাকা।
খুলনা গেজেট/ এস আই