নানামুখী চাপ ও ভোটের পরিবেশ নেই– এমন অভিযোগ তুলে বুধবার আরও পাঁচটি আসনে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। আসনগুলো হলো– চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২, সিলেট-৫, ময়মনসিংহ-৩ এবং গাইবান্ধা-৫। এ নিয়ে গত চার দিনে ১৮টি আসনে পিছু হটল জাপা।
জেলা আইনজীবী সমিতি মিলানয়তনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী জেলা জাপা সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের দলীয় প্রার্থী রবিউল ইসলাম।
সোহরাব হোসেন বলেন, ‘প্রচারে দারুণ সাড়া পেলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের আচরণে আমরা হতাশ। তারা আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ২৬ আসন পাওয়ার পর আমাদের পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছেন। পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ ২৬ নেতার কাছে সবাই জিম্মি। তারা সরকারের কাছ থেকে কোটি কোটি পেলেও প্রার্থীদের এক টাকাও দেননি।’
জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সিলেট-৫ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাব্বির আহমদ বলেন, ‘নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। নানাভাবে হুমকিধমকি ও চাপ দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য ভোট প্রত্যাখ্যান করলাম।’ এ নিয়ে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে জাতীয় পার্টির তিনজন, স্বতন্ত্র এক ও বিএনএমের এক প্রার্থী সরে দাঁড়ালেন।
নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলচড়ি) আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার বলেন, নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন, কর্মীদের মারধর, প্রশাসনের অসহযোগিতাসহ নির্বাচনের পরিবেশ না থাকাই ভোট থেকে সরে দাঁড়ালাম।
ফলে এ আসনে আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপন, দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলীসহ পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রইলেন।
ময়মনসিংহ-৩ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি সমকালকে বলেছেন, ‘একপেশে নির্বাচন হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে বোকাইনগর ইউনিয়নে আমার নির্বাচনী ক্যাম্পে অস্ত্রধারীরা হামলা করেছে, তাই নির্বাচন করব না।’