কেন্দ্র ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ফলাফল দেখে কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে আনন্দ করছিলেন ঢাকা-৫ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হারুনর রশিদ মুন্না। স্বস্তি নিয়ে ঘরে ফেরার পর টেলিভিশনে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফলাফলে দেখেন তিনি ২৯৭ ভোটে পরাজিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করা ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মশিউর রহমান মোল্লা সজলের কাছে ৷ এমতাবস্থায় ভোটের ফলাফলে কারচুপি করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ নিয়ে মধ্য রাতে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে এসেছেন নৌকার প্রার্থী ৷ তবে কমিশনের পদস্থ কেউ তাকে দেখা দেননি।
রোববার দিবাগত রাত পৌনে তিনটায় তিনি নির্বাচন কমিশন ভবনের নিচতলায় মিডিয়া সেন্টারের সামনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন গণমাধ্যমে।
হারুনর রশিদ বলেন, ‘আমাদের যারা এজেন্ট ছিল, তারা কেন্দ্র থেকে ফল নিয়ে এসেছে, আমরা যোগ করে দেখলাম আমরা ৬১৩ ভোটে এগিয়ে আছি। আমাদের নেতা-কর্মীরা আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে, আমিও তাদের সঙ্গে ছিলাম। পরে বাসায় ফিরে টিভিতে দেখি আমি হেরে গেছি।’
দনিয়ার কাউন্সিলার মাসুম মোল্লা এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার বিথী ঘোষের কারসাজিতে তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে হারুনর রশিদ বলেন, ‘এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক মার্কার মশিউর রহমান মোল্লা সজলের কারসাজি আছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ধোলাইপারে নির্বাচন কমিশনের অফিসে গেলাম, সেখানে দুজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ছিল। তারা আমাকে সেগুনবাগিচা ঢাকা জেলা নির্বাচন কমিশনে যেতে বলল। আমি সেখানে গেলাম রিটার্নিং অফিসার আমাকে বলল আমি তো ঘোষণা দিয়ে দিছি, আপনি নির্বাচন কমিশনে যান।’
এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে উল্লেখ করে হারুনর রশিদ বলেন, ‘আমরা সরকার দলীয় প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও কোনো সুযোগ-সুবিধা পাই নাই। প্রশাসন আমাদের কথা শোনে না। দুর্নীতিবাজ প্রশাসনের জন্যই এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হল, এতে আমি লজ্জিত।’
এ সময় নির্বাচন কমিশনে হারুনর রশিদ সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এড. এবিএম রিয়াজুল কায়সার।
কায়সার বলেন, আমরা এখন ১৮৭টি ভোট কেন্দ্রের রেজাল্ট শিট কমিশনে জমা দিব, কাল কমিশনের বিবেচনার জন্য অপেক্ষা করব।
এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন, ঢাকা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অভিযুক্ত কমিশনারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি।