মাস ছয়েক আগে যখন তরফদার মো. রুহুল আমিন বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন না বলে জানিয়ে দেন কাজী মো. সালাউদ্দিনকে, তখন বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি বাদল রায় ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি নির্বাচন করবেন।
সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেছিলেন, ‘কাজী সালাউদ্দিনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হতে দেয়া যাবে না। কেউ না দাঁড়ালে আমি সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।’
ঘোষণামতে বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করে জমাও দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন। কিন্তু শনিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন নিজের জমা দেয়া ফরম তুলে নেন সাবেক এ তারকা ফুটবলার।
বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় থাকলেও এক ঘণ্টা পর বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগের কাছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চিঠি দিয়ে যান বাদল রায়ের স্ত্রী। নির্ধারিত সময়ের পর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় তার সেই আবেদন গ্রহণ করা হবে কি না, সেটি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে বাফুফের নির্বাচন কমিশনে।
তবে বিকেল ৫টার আগেই বাদল রায় নির্বাচন কমিশনের প্রধান মেজবাহ উদ্দিনকে ফোন করে জানিয়েছিলেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চিঠি নিয়ে বাফুফেতে যাচ্ছে তার স্ত্রী। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ফোন করে প্রত্যাহার করার কথা জানানোয় ব্যালট পেপারে বাদল রায়ের নাম না থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
বাদল রায় মনোনয়নপত্র তুলে নিলেও সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়ে গেছেন আরেক সাবেক তারকা ফুটবলার সফিকুল ইসলাম মানিক। আগামীকাল (রোববার) চূড়ান্ত প্রার্থী প্রকাশ করা হবে। ভোট ৩ অক্টোবর।
খুলনা গেজেট/এএমআর