যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। জর্জিয়ার অঙ্গরাজ্যের নির্বাচকরা তার বিরুদ্ধে ফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন।
ফুলটন কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ফানি উইলিসের করা এই মামলায় ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী বেছে নেওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন ট্রাম্প।
আইনজীবীরা ট্রাম্প এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মোট ১১টি অভিযোগ এনেছেন। এরমধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার ষড়যন্ত্র, আলামত নষ্ট করা প্রভৃতি।
পেট্রো ডলারের হাতছানি উপেক্ষা করতে পারলেন না নেইমার। পিএসজি এবং ইউরোপ ছেড়ে মাত্র ৩১ বছর বয়সেই সৌদি আরবে পাড়ি জমাতে যাচ্ছেন তিনি। রোনালদো, বেনজেমাদের মতো তিনি তো বুড়িয়ে যাননি। অবশ্য সপ্তাহে প্রায় ৩ মিলিয়ন ইউরোর হাতছানি উপেক্ষা করা কঠিন। নেইমারের আল হিলালে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তে ভীষণ আলোচনা চলছে ফুটবল বিশ্বে।
নেইমারের জন্য আল হিলালের ৯০ মিলিয়ন ইউরোর ট্রান্সফার ফিতে পিএসজি রাজি বলে জানিয়েছে বিবিসি। ইএসপিএন জানিয়েছে, আল হিলালের সঙ্গে ব্যক্তিগত শর্তাবলি নিয়েও একমত হয়েছেন নেইমার। দুই বছরের জন্য চুক্তি হচ্ছে। প্রতি মৌসুমে ১৫০ মিলিয়ন করে দুই বছরে ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর পারিশ্রমিক পাবেন নেইমার। আল নাসরে রোনালদো প্রতি মৌসুমে পান ২০০ মিলিয়ন ইউরো, বেনজেমার পারিশ্রমিক প্রতি মৌসুমে ১০০ মিলিয়ন ইউরো।
গতকালই প্যারিসে নেইমারের মেডিকেল হয়ে যাওয়ার কথা। এ সপ্তাহেই তিনি সৌদি যাবেন। দলবদলের খবরের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো টুইট করে জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চুক্তি করতে সম্মত হয়েছেন নেইমার। তবে এ ব্যাপারে নেইমার কিংবা আল হিলালের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কিছু জানানো হয়নি।
নেইমারের সৌদি যাত্রা কি তাহলে শেষের শুরু? নেইমার খুব করে চাইছিলেন ইউরোপে থাকতে। আরও স্পষ্ট করে বললে তিনি সৌদি আরবের ক্লাবে নাম লেখাতে শুরুতে রাজি ছিলেন না। কারণ তিনি ভালো করেই জানেন, সৌদিতে যাওয়া মানে ফুটবলের মূল স্রোত থেকে ছিটকে পড়া।
সৌদিতে নাম লেখানো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (৩৮), করিম বেনজেমা (৩৫), জর্ডান হেন্ডারসনরা (৩৩) পড়ন্ত বেলায় রয়েছেন। ইউরোপের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও মানসম্পন্ন সৌদির ফুটবল নয়। নেইমারের বয়স এখন ৩১ হয়ে গেছে। সৌদি লিগে নাম লেখালে সেখান থেকে তার পক্ষে ইউরোপে ফেরাও ভীষণ কঠিন। ফুটবলের মূল স্রোতে থাকতে না পারলে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া কঠিন। তার ওপর নেইমার আবার ভীষণ ইনজুরিপ্রবণ। তার জন্য বিষয়টি আরও কঠিন হয়ে যাবে।
খুলনা গেজেট/এনএম