ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী ও দলটির জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বরিশাল সিটি নির্বাচনে নিজের ভোটপ্রদান শেষে বলেছেন, ভোটের ফল নিয়ে যেন কোনো অবস্থায় কারচুপি করা না হয়।
সোমবার সকাল ৮টায় নগরীর রূপাতলী হাউজিং আবদুর রব সেরনিয়াবাত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোট প্রদান শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, ভোটের পরিবেশ এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু দেখছি। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা ভোটের ফল না পাব, ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত অনেক ভালো। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আমাদের কাছে আসেনি। শুধু কাউনিয়ায় আমাদের এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। তবে কর্তব্যরত পোলিং অফিসারকে জানানোর পর তারা বিষয়টি সমাধান করেন।
ফল মেনে নেওয়া বা না নেওয়ার বিষয়ে সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, এখন পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয় তা হলে ফল যাই হোক না কেন অবশ্যই আমরা মেনে নেব।
তিনি বলেন, যদি ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারেন তা হলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত।
এর আগে সকাল ৮টায় বরিশাল সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন সাতজন। এদের মধ্যে দলীয়ভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে চারজন। তারা হলেন— আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপফুল)। বাকি তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন। তারা হলেন মো. আলী হোসেন হাওলাদার (হরিণ), মো. আসাদুজ্জামান (হাতি) ও মো. কামরুল আহসান (টেবিল ঘড়ি)।
এ ছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১১৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৪২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১২৬টি। এই সিটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন।
খুলনা গেজেট/এনএম