দেশের জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারকে বর্জন করেছে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেটা প্রমাণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে আজ রোববার দুপুরে গুলশানের বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, ‘সরকারের সাজানো নির্বাচনের যে নাটক, আজকে সকাল থেকে সেই অংকের শেষ অংশ মঞ্চায়ন হচ্ছে। মজার কথা হচ্ছে এই যে, গত এক বছর ধরে আমরা যে কথাটি বলে আসছিলাম—বাংলাদেশের জনগণ এই সরকারকে বর্জন করেছে। সেই কথাটি আজকে নির্বাচন বর্জনের মধ্য দিয়ে জনগণ দেশে এবং বিদেশে সবার সামনে প্রমাণ করে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সকালে ভোট যখন শুরু হয়, তার আগে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের ছবি আমরা সংগ্রহ করেছি এ পর্যন্ত। ভোটকেন্দ্রগুলো যে ভোটারশূন্য কেবলমাত্র তাই নয়, আমাদের মনে পড়ছে আজকে থেকে ১০ বছর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির কথা। যেদিন আমরা দেখেছিলাম, ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দেয় না, কুকুর-বিড়াল ভোট দেয়।
‘আমরা অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করলাম, গত ১০ বছরে সরকার গণতন্ত্রকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, আজও শতশত কেন্দ্র শূন্য। এখানে কোনো ভোটার নেই। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের সামনে আজকে শীতের সকালে কুকুর রোদ পোহাচ্ছে। এটাই বাংলাদেশের আজকের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের নামে যে প্রহসন, সেই প্রহসনের বাস্তবতা,’ বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘বারবার বলেছি আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। কারণ আমরা নীতিগতভাবে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং বলি গণতন্ত্র একটি নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া। প্রশ্ন হচ্ছে যে, আমরা যদি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কোনো রকমের অগণতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বন করি তাহলে আমরা বিশ্বাস করি এটা নৈতিকভাবে সঠিক হবে না এবং আমাদের সেই নৈতিক আস্থা ও বিশ্বাস আছে বলেই এবং জনগণের সমর্থন পেয়েছি সেই বিশ্বাস আছে বলেই আমরা ঘোষণা দিয়েছি, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করে যাব।
‘গণতন্ত্রের নামে কোনো ভুয়া-মেকি সিস্টেমে আমরা বিশ্বাস করি না। এই সরকার আজকে যেটা করছে, সেটা হচ্ছে গণতন্ত্রের একটা ভাগ। অনেকে বলে এই সরকার স্বৈরাচারী সরকার। আরও বিভিন্ন আখ্যায় মানুষ এই সরকারকে অভিহিত করে থাকে। আমি বলছি, এই সরকার গণতন্ত্রের ভান ধরা একটি সরকার। গণতন্ত্রের ভান ধরে যে সরকার থাকে, তারা স্বৈরাচারী সরকারের চেয়ে আরও অনেক বেশি ভয়ঙ্কর,’ যোগ করেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ টিএ/এনএম