বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভোজ্যতেলের স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী (ভোক্তা) পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে এনবিআর এ বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এরআগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভোজ্যতেল, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট কমানোর নির্দেশনা দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি এ বৈঠকে নিত্যপণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে নির্দেশ দেয় মন্ত্রিসভা।
এরপর বিকেলে এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ের ভ্যাট প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানান।
ওই অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে আমদানিতে ১০ শতাংশ ভ্যাট কমানোর পাশাপাশি, উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ের ভ্যাট প্রত্যাহার করা হবে।
ভোজ্যতেলে ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ কমানো হবে। উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ সেখানে কমানোর কথা বলা হয়েছে। আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ রয়েছে, সেখান থেকে ১০ শতাংশ কমানো হবে। কী পরিমাণ কমানো হবে সেটা এনবিআরের এসআরও প্রকাশের পর জানা যাবে বলে জানান মন্ত্রী।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, চিনিতে রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) আছে ২০ শতাংশ, সিডি আছে প্রতি টনে তিন হাজার টাকা। চিনির ক্ষেত্রে ভ্যাট নয়; আরডি কমানো হতে পারে। তেলের জন্য ভ্যাট আছে। এজন্য ভ্যাট কমানো হতে পারে।
টিপু মুনশি জানান, বাজারে নিত্যপণ্যের যথেষ্ট মজুদ আছে। তাই আসছে রমজানে খাদ্যপণ্যের কোনো সমস্যা হবে না। সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে মনিটরিং করছে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন টিম। বেশি পন্য কিনে মজুদ করে না রাখার আহ্বানও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
সাপ্লাই চেইন যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য উৎস পর্যায়ে নজরদারি করবে এই টাস্কফোর্স। র্যাব, পুলিশ, জেলা প্রশাসক ও ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তারা এই পর্যায়ে ভূমিকা রাখবেন।
সরবরাহ ব্যবস্থায় ‘অসাধু উপায়ে’ যে দাম বাড়ানো হয়, সে কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, একজনের হাতে এসও (সাপ্লাই অর্ডার) দেয়া হচ্ছে, সে সেটা নিয়ে বসে আছে। কখন দাম বাড়বে সেই আশায়। অথবা সে একটা সার্টেইন প্রাইসে আরেকজনকে দিল, সে আবার আরেকজনকে দিল। এভাবে দাম বাড়াতে থাকল।
আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে যেদিন এটা কিনবে তার সাতদিন বা সার্টেইন টাইমের মধ্যে সাপ্লাই নিতে হবে। অন্যথায় এটা বাতিল হয়ে যাবে।
খুলনা গেজেট/এএ