কিশোরগঞ্জের ভৈরবে যাত্রীবাহী এগারসিন্দুর এক্সপ্রসের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহতের খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন আরও ৪০ থেকে ৫০ জন। শঙ্কা করা হচ্ছে, প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে।
দুর্ঘটনার পর ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, নোয়াখালীর রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলিম হোসেন শিকদার গনমাধ্যমকে ২০ জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে গেছে যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি। চাপা পড়ে আছে অনেকেই। ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলোতে অনেকেই আহত অবস্থায় পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানায়, মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল আর যাত্রীবাহী ট্রেনটি যাচ্ছিল ভৈরব থেকে ঢাকায়। ভৈরব রেল স্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ দুই বগিতে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। এ সময় যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি উল্টে যায়।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেন ভৈরব স্টেশনে প্রবেশ করছিল। তার আগ মুহূর্তে ভৈরব থেকে এগারসিন্দুর ট্রেন ঢাকার দিকে রওনা হয়েছিল। জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় এগারসিন্দুর ট্রেনের শেষের দুই-তিনটি বগিতে কন্টেইনারবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন আঘাত করে। এতে যাত্রীবাহী এগারসিন্দুর ট্রেনের শেষের দুই-তিনটি বগি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) নাজমুল ইসলাম গনমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে মালবাহী ট্রেনটি “সিগন্যাল না মানায়” এ সংঘর্ষ হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।
দুর্ঘটনার পর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার জীবন মিয়া জানান, ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
খুলনা গেজেট/ টিএ