সকাল থেকে অপেক্ষা, বৃষ্টি বন্ধ হলেই শুরু হবে খেলা। ভারি বর্ষণ উপেক্ষা করে স্টেডিয়ামে হাজির কর্তব্যরত কর্মীরা। সংবাদমাধ্যম কর্মী থেকে দর্শক, অনেকেই উপস্থিত হয়েছেন মিরপুর স্টেডিয়ামে। তবে যাদের জন্য অপেক্ষা, বাংলাদেশ আর পাকিস্তান দলের ক্রিকেটাররাই যে মাঠমুখো হলেন না। দিনভর চললো ভারি বর্ষণ। তাতে হোটেলেই গোটা দিন গেল ক্রিকেটারদের। গ্রাউন্ডসম্যানদে কাটল অলস সময়। সারাদিনে আর সরাতে হলো না পিচ কাভার।
দুপুর ২টার দিকে আসলো ঘোষণা। বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচের তৃতীয় দিনের খেলা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হলো। এদিন মাঠে কোন বল না গড়িয়েই ভেসে গেল পুরো দিনের খেলা।
মূলত ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল। শনিবার সকাল থেকে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে, যা ভারি মাত্রায় রূপ নিয়ে রোববার রাত থেকে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যকার ঢাকা টেস্টে। ম্যাচের প্রথম দিনে শনিবার চা বিরতির পর আর বল মাঠে গড়ায়নি। গতকাল দ্বিতীয় দিনের নির্ধারিত সময়েও শুরু করা যায়নি খেলা।
সকাল সাড়ে ৯টায় ম্যাচ শুরুর সময় থাকলেও কয়েক দফার বৃষ্টিতে শেষপর্যন্ত বল মাঠে গড়ায় ১২.৫০টায়। দ্বিতীয় দিনে খেলা হয় মাত্র ৩৮ বল। যেখানে ব্যাট হাতে ২৭ রান তুলতে পারে পাকিস্তান। থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতে দিনের খেলা আর শুরু করার মতো অবস্থা না থাকায় বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
তৃতীয় দিনে আজ ম্যাচের সময় আঘাঘণ্টা আগিয়ে আনলেও লাভ হয়নি। টানা বর্ষণের কারণে খেলা তো শুরু করা সম্ভবই হয়নি, এমনকি হোটেল থেকেই বের হতে পারেনি দুই দল। বৃষ্টি আর বর্তমান পরিস্থিতি ভালো বার্তা দিচ্ছে না। ভেসে যেতে পারে তৃতীয় দিনের খেলা। পরিস্থিতি এমন চলতে থাকলে ম্যাচের ভাগ্য গড়াতে পারে ড্রয়ের দিকে।
২ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান নিয়ে খেলতে নামা পাকিস্তান বৃষ্টিতে দ্বিতীয় দিন খেলা বন্ধ হওয়ার আগে স্কোর বোর্ডে তোলে আরো ২৭ রান। অবশ্য আর কোন উইকেট হারায়নি তারা। বর্তমানে সফরকারীদের সংগ্রাম ২ উইকেটে ১৮৮ রান।
বৃষ্টির তীব্রতা কমলে আগামীকাল (মঙ্গলবার) ম্যাচের চতুর্থ দিন বাবর আজম ৭১ ও আজহার আলি ৫২ রানে অপরাজিত থেকে আবার ব্যাটিং শুরু করবেন।
খুলনা গেজেট/এএ