খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রীতি ম্যাচ : মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ, সিরিজ শেষ হলো ১-১ সামতায়
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯৪
  আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার : ড. ইউনূস
  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ

ভূয়া নমিনি সাজিয়ে বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলনের চেষ্টা

চুলকাঠি প্রতিনিধি

রামপালের বাঁশতলী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের গিলাতলা গ্রামের জনৈক এক সম্মানীয় ব্যক্তির নামে বয়স্ক ভাতার বই তৈরি করে ভূয়া নমিনি সাজিয়ে ভাতার টাকা উত্তোলনের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভাতার টাকা তুলতে গেলে সোনালী ব্যাংক গিলাতলা শাখার ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভুয়া ভাতা উত্তোলনকারী হৃদয় কুমার পালকে চ্যালেঞ্জের এক পর্যায়ে সে ব্যাংক থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।

জানা গেছে, রামপাল উপজেলা সমাজসেবা দপ্তর থেকে জনৈক ওই ব্যক্তির নামে একটি বয়স্ক ভাতার একাউন্ট খোলা হয়। যার ব্যাংক হিসাব নং ০১০১৫০৭৪ ও ভাতার বই নং- বাঁশ/৬৩১। সম্মানীয় ওই ব্যক্তির ভাতার টাকা গিলাতলার পলাশ পালের পুত্র হৃদয় পালকে ভূয়া নমিনি সাজিয়ে ওই ওয়ার্ডের সদস্য মল্লিক মিজানুর রহমান একটি প্রত্যয়ন পত্র দেন। ওই প্রত্যয়ন পত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ আলীর ইনিশিয়াল একটি স্বাক্ষর থাকলেও তাতে কোন সীল মোহর দেওয়া ছিল না।

অনুরূপ ভাবে ওই ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর থাকলেও তাতে ও কোন সীল মোহর দেওয়া ছিল না। আর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তার সীলমোহর যুক্ত স্বাক্ষর ও প্রত্যয়নপত্র ছিল না যে কারনে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রকৃত ভাতাভোগী ওই ব্যক্তিকে ডেকে ব্যাংকে নিয়ে আসেন। তিনি এসে বলেন আমি কোন নমিনি করিনি। কে বা কাহারা এটা করেছে আমি জানি না তবে আমি কোন ভাতার টাকা উত্তোলন করবো না। অভিযুক্ত হৃদয় পালকে প্রশ্ন করা হলে সে জানায় আমি কিছু জানি না, সব কিছু মিজান মেম্বর করেছে।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মল্লিক মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি স্বাক্ষর দিলে তো প্রত্যয়ন পত্রে আমার সীল মোহর থাকার কথা, যা প্রত্যয়ন পত্রে নেই।’

এ বিষয়ে ব্যাংকের ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ হামিদুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অসুস্থ কোন জীবিত ভাতাভোগী ভাতার অর্থ নমিনির মাধ্যমে উত্তোলন করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন স্বাপেক্ষে সমাজ সেবা অফিসার প্রত্যয়ন পত্র জারি করলে নমিনি টাকা উত্তোলন করতে পারেন। এর বাইরে যদি কেউ বিধি বর্হিভূতভাবে ভাতার টাকা উত্তোলন করার চেষ্টা করলে বা করে থাকলে আমাদের নজরে এলে আমরা অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!