সাতক্ষীরা শহরে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ভূয়া ডাক্তারসহ দুইজনকে কারাদন্ড ও দু’টি বেসরকারি ক্লিনিক মালিককে ৫৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া একটি ক্লিনিককে সিলগালা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দূপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন হোসেনের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল এই অভিযান চালায়।
অভিযানকালে সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড এলাকায় সদর হাসপাতাল কাছে শেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভূয়া ডাক্তার সেজে প্রতারনার অভিযোগে বিপ্লব কুমার দাস ওরফে বিকে দাসকে ৬ মাসের কারাদন্ড ও প্রতিষ্ঠানটির মালিক আবুবকর সিদ্দিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত লাইসেন্স না থাকায় আস্থা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক বিশ্বজিত পালকে ১০ দিনের কারাদন্ড ও ৫ হাজারা টাকা জরিমানা এবং প্রতিষ্ঠানটি সিলগালার আদেশ দেন।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন হোসেন জানান, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ভূয়া চিকিৎসক দিয়ে ক্লিনিক পরিচালনার অভিযোগে সাতক্ষীরা শহরের সেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আবু বক্কর সিদ্দিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া সেখানকার ভূয়া চিকিৎসক বিপুল কুমার দাস ওরফে বিকে দাসকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
অন্যদিকে, রেজিস্ট্রেশন না থাকায় আস্থা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সীল গালা করা হয়। একই সাথে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক বিশ্বজিত পালকে ১০ দিনের কারাদন্ডসহ ৫ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়।
অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান তিনি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন র্যাব-৬ সাতক্ষীরা কোম্পানি কমান্ডার এএসপি নাজমুল হক, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত কুমার সরকারসহ অন্যান্যরা।
খুলনা গেজেট/ টিএ