ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ বেশ জনপ্রিয়। অ্যাপটি যেমন ব্যবহারকারীকে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়, তেমনই এর মাধ্যমে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে ভুয়ো খবর, হিংসা। যা রুখতে তৎপর মেটা মালিকানাধীন অ্যাপটি। সেই লক্ষ্যেই সম্প্রতি ৭৫ লাখ ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হল।
হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র মার্চ মাসেই ভারতে ৭৪ লক্ষ ৫২ হাজার ৫০০টি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মার্চের তুলনায় এই হার ৫৮.০২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছর এপ্রিলেই অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হওয়ার হার সর্বোচ্চ।
এতেই প্রমাণিত যে ভুয়া খবর আর হিংসা ছড়ানোর প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। কিন্তু আর কোন কারণে অ্যাকাউন্টগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে? কীভাবেই বা বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়?
জানা গেছে, বেশ কয়েকটি স্তর পেরিয়ে অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ব্যবহারকারীর রেজিস্ট্রেশন, মেসেজিংয়ের পাশাপাশি অন্য ব্যবহারকারীদের পক্ষ থেকে পাওয়া রিপোর্ট ও ব্লক রিপোর্টয়ের উপর নির্ভর করে অ্যাকাউন্টটি নিষিদ্ধ করা হবে কি না।
হোয়াটসঅ্যাপের নিয়ম ভাঙার জন্য গ্রিভেন্স অ্যাপলেট কমিটির নির্দেশে অ্যাকাউন্টগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এবার প্রশ্ন হল, কীভাবে নিজের অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত রাখবেন? হোয়াটসঅ্যাপে বিস্তারিত ভাবে শর্তাবলি লেখা থাকে, সেটি ভালোভাবে পড়ে নিন। তাহলেই বুঝবেন এই অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম মানতেই হবে। হিংসা কিংবা ভুয়ো খবর ছড়ানো, অটোমেটেড বট ব্যবহার, বাল্ক মেসেজ না পাঠালে আপনার অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে।
এদিকে, গত ২৫ মার্চ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ২৫ লক্ষেরও বেশি অ্যাকাউন্ট ব্যান করল টুইটার। শিশু নিগ্রহ এবং অকারণ নগ্নতা প্রদর্শনের কারণে এই অ্যাকাউন্টগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
খুলনা গেজেট/এসজেড