রাজ্যের নাম তুষার। শীতকালে তুষাড় পড়ে তাই রাজ্যের নাম তুষার রাজ্য। রাজ্যে কোন শান্তি নেই। প্রতি রাতে ভুতে ধরে নিয়ে যাচ্ছে ২/৪ জন মানুষ। সারা রাজ্যে কান্নার রোল। আজ রাতে কাদের ধরে নিয়ে যাবে। সব মানুষ অসহায়। কেউ কিছু করতে পারছে না। রাজা তার মন্ত্রীদের সাথে বসলো। বললেন,
: আপনারা সবাই ভাবুন। আমরা কিভাবে ভুত থেকে রক্ষা পেতে পারি?
: একটা কাজ করা যেতে পারে না।
: কী?
: আমরা সারা রাজ্যে ঘোষণা দিতে পারি। যে ভুত মারতে পারবে তাকে এক লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
: খুব ভালো কথা বলেছেন। ব্যবস্থা করুন।
সারা রাজ্যে সবার এক লাখ টাকার প্রতি লোভ হচ্ছে কিন্তু কে যাবে ভুত মারতে। আর ভুত কোথায় থাকে তাওতো কেউ জানে না। এক নাপিতের কানে মাইকের আওয়াজ যেতেই মনে মনে বললো আমি মারব ভুত এক লাখ টাকা আমার চাই। নাপিত সারা জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে এক সময় ভুতের ঠিকানা বের করে ফেললো। বড় একটি গাছের নিছে তারা ঘুমায়। নাপিত একদিন ব্যাগে করে কিছু পাথর নিয়ে গাছে উঠল। গাছে বসে অপেক্ষা করতে থাকল কখন ভুতেরা আসে।
গভীর রাতে দেখতে পেল দুই ভুত দু’জন মানুষকে ধরে এনেছে। তারপর হাত ছিড়ে তারা খেতে শুরু করলো। মানুষ দু’জন চিৎকার দিয়ে বলছে, “বাচাও! ভুত খেয়ে ফেলছে।“ ভুতদের কি আর মায়া দয়া আছে। কিছু সময়ের মধ্যে তাদের খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। তাদের নাক ডাক শুনে বনের পশুরা পালাতে শুরু করলো। নাপিত একটি পাথর ফেললো একটি ভুতের বুকের উপর। সে ভাবল ঐ ভুতটা কিল মারছে ।
: এঁই তুঁই আঁমারে কিঁল মাঁরলি ক্যাঁন?
ঐ কথা বলে কিল মেরে দিল। নাপিত এবার অন্য ভুতের বুকে পাথর ফেললো। অন্য ভুতটি তারে কিল দিয়ে বললো,
: এঁই তুঁই আঁমারে মাঁরলি ক্যাঁন।
এভাবে নাপিত কয়েকবার পাথর ফেললে তাদের ঘুম পুরোপুরি ভেঙ্গে গেল। প্রথম কিলাকিলি। তারপর ছোট গাছ ভেঙ্গে মারামারি শুরু করলো। এক সময় থেমে গেল। সকাল হলে নাপিত গাছ থেকে দেখতে পেল ভুত দুটি মরে পরে আছে। নাপিত ভুতের মাথা কেটে ব্যাগে করে নিয়ে রাজাকে দেখালো। রাজা ভুতের বাকি অংশ দেখতে চাইল। রাজা নাপিতকে এক লাখ টাকা দিল ও রাজধানীতে বাড়ি দিল। সবার সুখ-শান্তি ফিরে এলো।
খুলনা গেজেট/কেএম