খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আগুন নিয়ন্ত্রণে, খুলনায় পাট গোডাউনসহ ১০ দোকানের কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই

ভিসি কলিমউল্লাহর ১১১ খাতে দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ

গেজেট ডেস্ক

রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর দুর্নীতির ৭৫৮ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্রের প্রথম খণ্ড প্রকাশ করেছে শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ।

এ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ১১১টি খাতে দুর্নীতির পরিসংখ্যান তুলে ধরে তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়- এটি দুর্নীতির শ্বেতপত্রের প্রথম খণ্ড। পরবর্তীতে দ্বিতীয় খণ্ডে উপাচার্যের দুর্নীতির আরও ভয়াবহ তথ্য জনসমক্ষে তুলে ধরা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্যাফেটেরিয়ায় শনিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান।

তিনি বলেন, উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ইউজিসির নির্দেশনা অমান্য করে জনবল নিয়োগ, শিক্ষক ও জনবল নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়ম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে দুর্নীতি, নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি হয়েও উপাচার্যের অনুপস্থিতি থাকা, ইচ্ছামতো পদোন্নতি, আইন লঙ্ঘন করে একাডেমিক ও প্রশাসনিক পদ দখল, ক্রয় প্রক্রিয়ায় নীতিমালা লঙ্ঘন, উপাচার্যের অননুমোদিত ও অনিয়মতান্ত্রিক ফাউন্ডেশন ট্রেনিং, ঢাকার লিয়াজোঁ অফিসে অতিরিক্ত খরচ, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, চরম শিক্ষক সংকটসহ নানান অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক মাহমুদুল হক।

লিখিত শ্বেতপত্রে উল্লেখিত ১১১টি অভিযোগের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ২০১৭ সালের ১৪ জুন যোগদান করার পর ক্যাম্পাসে ধারাবাহিক অনুপস্থিত থেকে ঢাকার লিয়াজোঁ অফিসে বসে ব্যাপকভাবে একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, জালিয়াতি, ভর্তি বাণিজ্য, হয়রানি, নির্যাতন, নিপীড়ন আর স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে এ সংঘবদ্ধ দুর্নীতির চক্র তৈরি করেছেন তিনি।

এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে এ নিয়ে উপাচার্যের বক্তব্য জানতে তার দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়।

সেখান থেকে জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. এহতেরামুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার জন্য তথাকথিত শ্বেতপত্র প্রকাশের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের নামে ঘটানো ন্যক্কারজনক এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!