পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবে আসা হাজিরা শনিবার রাত ১২টা থেকে মুজদালিফা থেকে জামারাহ উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। সাড়ে ১২টা থেকে পাথর মারা শুরু করেন হাজীরা। ভিড় এড়াতে হাজীদের একটা দল থেকে মধ্যরাত থেকে জামারার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। পাথর নিক্ষেপ শেষে তারা পবিত্র কাবা ঘর তাওয়াফের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
সৌদি হজ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, জামারায় পাথর মারার সময় অতীতে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এজন্য মুজদালিফায় অবস্থানরত হাজীদের বিভিন্ন দলে ভাগ করে জামারায় পাথর মারতে পাঠানো হয়। মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে এই কার্যক্রম আজ রোববার সারাদিন চলবে।
হাজীরা আজ রোববার প্রথম প্রহরে (১০ জিলহজ) ছোট, মধ্যম ও বড় জামারায় প্রতীকি শয়তানকে উদ্দেশ্য করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করেছেন। তাঁরা আগামীকাল সোমবার ও মঙ্গলবারও (১২ জিলহজ) ছোট, মধ্যম ও বড় শয়তানকে উদ্দেশ্য করে ২১টি পাথর ছুঁড়ে মারবেন। প্রতিটি শয়তানকে উদ্দেশ্য করে সাতটি করে পাথর নিক্ষেপের বিধান রয়েছে।
এ সময় হাজিদের হৃদয়ে ধর্মীয় আবেগ ও অনুভূতি সৃষ্টি হয়। শয়তানকে পাথর মারার সময় বেশিরভাগ হাজিই আবেগ ধরে রাখতে পারেন নি। হাজিরা শয়তানের কবল থেকে রক্ষা পেতে মহান আল্লাহর দরবারে অঝোরে কেঁদেছেন।
শয়তানকে উদ্দেশ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারার পর মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে সুবহে সাদিকের পর থেকে কাবা শরীফ তাওয়াফ করেন হাজিরা। এরপর তাঁরা কাবা শরীফের সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সাতবার ‘সাঈ’ (দৌঁড়ানো) করেন। সেখান থেকে তাঁরা আবার ফিরে যান মিনায়, নিজেদের তাঁবুতে।
আগামী দুই দিন ছোট, মধ্যম ও বড় শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপের পর সন্ধ্যার আগে হাজীরা মক্কার উদ্দেশে মিনা ত্যাগ করবেন।
খুলনা গেজেট/হিমালয়