বাংলাদেশ থেকে অন্ধত্ব নির্মূল এবং অপুষ্টিজনিত শিশুমৃত্যু প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকালে নগরীর সূর্যের হাসি ক্লিনিক প্রাঙ্গণে এ ক্যাম্পেইনের উদ্ধোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর দেহের স্বাভাবিক গঠন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এই ক্যাপসুল শুধু শিশুর অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধই করে না বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য এই ক্যাপসুলের গুরুত্ব অপরিসীম। দীর্ঘ সময় ধরে এই ক্যাম্পেইন চলমান থাকায় এখন আর অপুষ্টি ও রাতকানা রোগী শিশু দেখা যায় না। এর ফলে শিশুর মৃত্যুহার কমে গেছে। তিনি আরও বলেন, আজকের সুস্থ্যশিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর প্রতি সকল অভিভাবকদের উৎসাহিত করতে হবে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এর অভাব পূরণে বছরে দুইবার সম্পূরক খাদ্য হিসেবে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর কনিকা সাহা ও মাজেদা খাতুন। স্বাগত বক্তব্য দেন কেসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার হালদার। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের উপপরিচালক ডাঃ ফেরদৌসী আক্তার, ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বক্তব্য রাখেন।
এবছর খুলনা মহানগরীতে মোট এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ১৩ হাজার পাঁচ শত ৭৩ জন এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা এক লাখ তিন হাজার চারশত ৮৪ জন।
এছাড়া খুলনা জেলার নয়টি উপজেলা এবং দুইটি পৌরসভার মোট ১ লাখ ৮৮ হাজার সাতশত ৪৭ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ২৩ হাজার ৯৪ জন এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ১ লাখ ৬৫ হাজার ছয়শ ৫৩জন। এদিনে সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৬-১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ আই,ইউ) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লাখ আই, ইউ) খাওয়ানো হবে।
খুলনা গেজেট/এসজেড