প্রথম ইনিংসে সাউথ আফ্রিকার করা ৩৬৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশ। দুই অঙ্কের রানের দেখা মেলার আগেই সাজঘরে ফিরে গেছেন সাদমান ইসলাম।
চা বিরতিতে যাওয়া পর্যন্ত এক উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ২৫ রান।
প্রোটিয়াদের অল্পতেই আটকে দিয়ে শুরুটা বাংলাদেশ করেছিল দেখে-শুনেই। ১০ ওভার নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিলেও একাদশতম ওভারে টাইগার শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন সাইমন হার্মার।
প্রোটিয়া এই পেইসারের গুড লেন্থের বল কিছুটা লো হয়ে আঘাত হানে সাদমানের স্টাম্পে। আর তাতেই ৯ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
এর আগে টেইল এন্ডারদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় বাংলাদেশের সামনে ৩৬৭ রানের পুঁজি নিয়ে ইনিংস শেষ করে সাউথ আফ্রিকা।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই প্রোটিয়া শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন খালেদ আহমেদ। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার কাইল ভেরেইনকে দিনের পঞ্চম ওভারে আউট করেন তিনি।
খালেদের ফুল লেংথ ডেলিভারির লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হন ভেরেইন। তার ব্যাট থেকে আসে ২৮। পরের বলেই মালডারকে স্লিপে মাহমুদুল জয়ের ক্যাচে পরিণত করেন খালেদ। মালডার রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি।
তবে তৃতীয় বল নতুন আসা ব্যাটার কেশভ মহারাজ খেলার চেষ্টাই করেননি। ফলে হ্যাটট্রিক হয়নি খালেদের।
ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে সাউথ আফ্রিকাকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন এই পেইসার।
খালেদের জোড়া আঘাতের পর উইকেট আগলে ধরে দলকে এগিয়ে নেয়র মিশনে নামেন বাভুমা ও মহারাজ। কিন্তু সেঞ্চুরি থেকে ৭ রান দূরে থাকতে তাকে ফিরতে হয় মিরাজের শিকার বনে।
পরের ওভারের প্রথম বলেই এবাদত সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন মহারাজকেও। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান।
এরপর টাইগার বোলারদের দেখেশুনে খেলতে থাকেন সাইমন হার্মার ও লিজাড উইলিয়ামস। খেলতে থাকেন মাটি কামড়ানো শট। সেই সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে। দলকে পার করান ৩৫০ রান।
শেষ পর্যন্ত ৩৬৭ রানেই থেমে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংসের চাকা।
বাংলাদেশের হয়ে ৪টি উইকেট পান খালেদ আহমেদ। ৩টি উইকেট যায় মেহেদী মিরাজের ঝুলিতে। আর ২টি উইকেট পান এবাদত হোসেন।
খুলনা গেজেট/এএ