আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে আদালত স্বাভাবিকভাবেই চলবে। ভার্চুয়াল আদালত কেবল বিশেষ পরিস্থিতিতে বা বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস আমাদের কতোদিনে ছেড়ে যাবে তা আমরা জানি না। যদি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ আরও বাড়ে তাহলে আমাদের ভার্চুয়াল কোর্টের সাহায্য নিতেই হবে। কারণ, বিচার ব্যবস্থার কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। স্বাধীন ও ন্যায় বিচার প্রাপ্তির জন্য জনগণের আশা পূরণ করতেই হবে। রোববার (১২ জুলাই) অধস্তন আদালতের আইনজীবীদের ‘ভার্চুয়াল আদালত পদ্ধতি ব্যবহারে দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক এক অনলাইন প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে এবং জিআইজেড বাংলাদেশ এর কারিগরি সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্ব এবং দেশের সব বিভাগ কিন্তু ভার্চুয়ালের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ যদি ভার্চুয়ালের দিকে এগিয়ে না যায় তাহলে শুধু বিশ্বে নয় দেশেও পিছিয়ে থাকবে। আমরা সমালোচনার সম্মুখীন হবো। জনগণ আমাদের ওপর আস্থা রাখতে চিন্তা করবে। সেসব ক্ষেত্র বিবেচনা করেই ভার্চুয়াল আদালত সম্পর্কিত প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে সরকার। এ বিষয়ে পর্যায়ক্রমে সারাদেশের আইনজীবীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে সরকার।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সারাবিশ্বে অনেক আদালত বন্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার সেখানে একটি বিকল্প ব্যবস্থা করে আদালত চালাতে পেরেছে। এই আদালত পূর্ণাঙ্গভাবে চালাতে গেলে আইনজীবীদের আবশ্যিকভাবে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। প্রশিক্ষণ, ভৌত অবকাঠামো গড়া ছাড়া ভার্চুয়াল কোর্ট পদ্ধতি সম্পূর্ণভাবে চালু করা সম্ভব নয়। বিচার বিভাগের ডিজিটাইজেশনের জন্য সরকার প্রায় দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকার ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুগ্ম-সচিব উম্মে কুলসুম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ শফিউল আজম, নরসিংদীর জেলা জজ মোস্তাক আহমেদ, জিআইজেড বাংলাদেশ এর ‘রুল অভ ল’ প্রোগ্রামের প্রধান প্রমিতা সেনগুপ্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি যথাক্রমে অ্যাডভোকেট শফিউল আলম ও অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান বক্তব্য দেন।