অভয়নগরে কয়লা,বালি, সার ব্যবসায়ীদের ভারী যানবাহনে শংকরপাশা, দেয়াপাড়া, মধ্যপুর, নগরঘাট এলাকার রাস্তাগুলোর বেহাল দশা হয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে ওই এলাকার সাধারণ মানুষকে। ভারী যানবাহনের কারণে গ্রামের কালভার্ট ক্ষতির মুখে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নওয়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা ভৈরব সেতুর ওপার ভৈরব নদের কোল ঘেঁষে মধ্যপুর, শংকরপাশা থেকে নগর দেয়াপাড়া ঘাট পর্যন্ত নিজেদের ব্যবসা বাড়াতে বিভিন্ন ঘাট তৈরি করেছে। এসব সব ঘাটে কয়লা, বালু, সারসহ বিভিন্ন মালামাল ড্যাম্পিং করে বিক্রি করে করছে ব্যবসায়ীরা। ড্যাম্পিং থেকে প্রতিদিন শতশত ভারি যানবাহন ১০ চাকা বিশিষ্ট ট্রাক লোড হয়। যে সব ট্রাক লোড ৪৫/৫০ মেঃ টন মালামাল ওজনসহ গ্রামের কাঁচা পাকা রাস্তায় চলাচলের কারণে রাস্তাগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ওইসব রাস্তা ২/৩ টন ওজনের ধারণ ক্ষমতা থাকলেও ভারি যানবাহন চলছে প্রতিদিন যা দেখার যেন কেউ নেই। সেখানকার সাধারণ মানুষ নওয়াপাড়া ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ব্যবসায়ীরা ক্ষমতার দাপটে নিজেদের সুবিধার জন্য স্থানীয় কিছু অসাধু প্রভাবশালী নেতাদের মাসোয়ারা দিয়ে হাত করে রেখেছেন। এর প্রতিবাদ করতে গেলে তার উপর জীবননাশের হুমকিসহ নানা ধরণের বিপদ নেমে আসে। যে কারণে কেউ ভয়ে মুখ খুলছে না।
সম্প্রতি ভৈরব সেতুর ওপার দক্ষিণ দেয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন চলাচলের অনুপযোগী কালভার্টের উপর দিয়ে ভারি ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে কালভার্ট ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রভাবশালীদের সুবিধার্থে ভাঙা কালভার্টের নিচে কতিপয় ব্যবসায়ী নিজ উদ্যোগে ইটের গাঁথুনি দিয়ে মেরামত করতে দেখা গেছে।
৫নং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল্লাহ জানান, ভারি ভারি যানবাহন ট্রাকগুলো ধারণ ক্ষমতার অধিক বহন করে চলাচলের কারণে আমার এলাকার একটি রাস্তা দিয়েও সাধারণ মানুষ চলতে পারেনা, এলাকা ধুলাবালিতে সয়লাব, ঐ সব রাস্তাগুলোর সাথে পানিসরা কালভার্টগুলোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উপজেলা প্রকৌশলী এম এ ইয়াফি’র মুঠোফোনে কল করলেও তিনি জানান, নদীর উপর যে সড়কগুলো আছে। ভারী যানবাহনে নষ্ট হওয়ার পথে। আমরা পরিদর্শনে যাবো।
খুলনা গেজেট/কেডি