খুলনার উপকূলীয় অঞ্চল কয়রাতে ভারী বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যয় হয়ে পড়েছে। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা ভোর থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। জীবন ও জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হয়েছেন অনেকে।
সোমবার (৭ জুলাই) ভোর থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে ভোর থেকেই ভারি বৃষ্টি শুরু হয়। এর মধ্যেও নিম্ন আয়ের মানুষেরা তাদের কাজে বের হন। দোকানপাটসহ হোটেল, রেস্টুরেন্টগুলোতে মানুষের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। অনেকেই দোকান খুলে অলস সময় কাটাচ্ছেন।
কুশোডাংগা গ্রামের ভ্যান চালক মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, ভোরে বৃষ্টিতে বের হয়েছি ভাড়া হয়নি টুকটাক চালিয়ে ৭০ টাকা আয় হয়েছে।
গিলাবাড়ি বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মোঃ অদুদ হোসেন বলেন, আমি সকালে মাছের কাটায় মাছ পাইকারী কিনতে গিয়ে দেখি বৃষ্টির কারণে মাছ তেমন আসেনি তাই আমিও মাছ বিক্রি করার জন্য ক্রয় করিনি।
মহেশ্বরীপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ইবাদুল শিকারীর বলেন, বাড়ি বাজার করার জন্য বৃষ্টিতে বের হয়েছি।
কাটাখালী গ্রামের মটর সাইকেল চালক মোঃ হারুনুর রশীদ বলেন, বৃষ্টির কারণে মটর সাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হয়নি।
মটর সাইকেল চালাক মোঃ বেল্লাল হোসেন বলেন, সকালে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় এসেছি কোন ভাড়া পায়নি। একই কথা বলেন মটর সাইকেল চালক মিজান।
গিলাবাড়ি খেয়া ঘাটের ইজারাদার মোঃ মিজানুর রহমান বাবু বলেন, বৃষ্টির কারণে সকাল থেকে লোকজন পারাপার খুব কম হচ্ছে।
গিলাবাড়ি খেয়াঘাটের মাঝি মোঃ আঃ সালাম বলেন, সকাল থেকে ২০০ টাকার মতো আয় হয়েছে। বৃষ্টির কারণে লোকজন তেমন বের হয়নি।
ঘুগরাকাটী গ্রামের মুদী ব্যবসায়ী মোঃ শফিক সরদার বলেন, বৃষ্টির কারণে দোকানে বেচা কেনা তেমন হয়নি। লোকজন তেমন আসেনি।
খুলনা গেজেট/এনএম