মসজিদ ও মাদ্রাসায় অগ্নিসংযোগ করে ভারত বিশ্বব্যাপী অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। ‘ভারতের উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের হলদোয়ানিতে মাদ্রাসা ও মসজিদ উচ্ছেদের লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিসংযোগে ৪ জন মুসলিমকে হত্যা, ৫ শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ এবং ক্ষোভ প্রকাশ করে’ এ বিবৃতি দেন চরমোনাই পীর।
রেজাউল করীম বলেন, মসজিদ ও মাদ্রাসা সরকারি জমিতে, এই মিথ্যা অজুহাত দিয়ে মসজিদ ও মাদ্রাসা আগুন দিয়ে তা পুড়িয়ে ভুস্মিতভূত করা এবং মানুষ হত্যা ও আহত করে ভারত বিশ্বব্যাপী অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। এরফলে সম্প্রীতি বিনষ্ট করে অশান্তির দাবানল জ্বালানো হলো। এভাবে ভারত মসজিদ, মাদ্রাসা ও মুসলমানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে সফল হবে না। ভারতের উগ্রতা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। মুসলমানরা বয়কট করলে ভারতের আখের রক্ষা হবে না। কাজেই সময় থাকতে ভারত মুসলিমবিদ্বেষ থেকে বেরিয়ে না আসলে চরম খেসারত দিতে হবে।
তিনি বলেন, ভারত পুরো ভারতবর্ষকে ইসলাম ও মুসলিম শূন্য করার যে মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এরআগে ভারতের মাদ্রাসাগুলোতে ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার নামে সুকৌশলে মুসলমানদেরকে হিন্দু বানানোর গভীর চক্রান্তের অংশ হিসেবে মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাদ্রাসায় হিন্দুগ্রন্থ পড়ানোর প্রস্তাব মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের নামান্তর।
চরমোনাই পীর বলেন, ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। প্রত্যেক নাগরিক নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মুসলমানদের উপরে অন্য ধর্মের গ্রন্থ চাপিয়ে দেয়া, এটা অন্যায়।
ভারতের সরকারকে মানবতার কল্যাণে এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
খুলনা গেজেট/ টিএ