খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  দুর্নীতি ও আমলাতন্ত্র দেশে ব্যবসায় পরিবেশ নিশ্চিতের অন্যতম বাধা : সিপিডি
  সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন ও তার স্বামীর পাসপোর্টের আবেদন স্থগিত
  দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার
বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস

ভারত থেকে এলো ১১টি বুলেটপ্রুফ সামরিক যান

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

সামরিক শক্তি আরও শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য ভারত থেকে মাইন প্রটেকটেড ১১টি সামরিক যানবাহন আমদানি করা হয়েছে। এসব গাড়ির আমদানি মূল্য ৪৬ কোটি টাকা। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে এসব সামরিক যান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। বুধবার বিকেলে এসব সামরিক যানগুলো বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস করা হয়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর জেনারেল ডিফেন্স পারসেজ এসব সামরিক যান আমদানি করেছে। রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের টাটা অ্যাডভানসড সিস্টেমস লিমিটেড। চালানে সামরিক যানগুলোর আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে ৩৮ লাখ ৫ হাজার ৩৯ ইউএস ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪৬ কোটি টাকা।

জানা যায়, এসব যানবাহনগুলো সেনাবাহিনীর সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য আনা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বুলেটপ্রুফ। এই প্রথম বেনাপোল বন্দর দিয়ে এ ধরনের সামরিক যান বাংলাদেশে আমদানি করা হলো।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সামরিক সরঞ্জামের তালিকার তথ্যমতে, দেশে এর আগে মোট ২০৫টি মাইন রেজিস্ট্যান্ট অ্যামবুশ প্রটেকটেড যান ক্রয় করা হয়েছিল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সরঞ্জামের তালিকায় দেখা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫০, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৪৪ ও কানাডা থেকে ৪৪টি মাইন রেজিস্ট্যান্ট অ্যামবুশ প্রটেকটেড যান কেনা হয়। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স-২০২৪ অনুযায়ী, সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৭তম।

ঢাকার এমআর লজিস্ট্রিক নামে একটি সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান সামরিক যানগুলো বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দর থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৪টার দিকে খালাস করেছে। ওই প্রতিষ্ঠানের বেনাপোল অফিসের প্রতিনিধি মোহাম্মদ বাবু বলেন, সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত এই ১১টি সামরিক যান খালাস করে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা ঢাকা সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওয়ানা দিয়েছেন।

বেনাপোল স্থলববন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, আমদানি করা এসব সামরিক যানগুলো বন্দরের হেফাজতে রাখা ছিল। কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে খালাস করে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে জানান বন্দর পরিচালক। দ্রুত খালাসে বন্দরের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হয়েছে ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!