আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত ভারত-ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্ট নিয়ে এবার মুখ খুললেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম-উল হক।
দুদিনের মধ্যে শেষ হয়েছে সেই টেস্ট। গত ৫৪ বছরে টেস্ট ক্রিকেটে যা আর দেখা যায়নি। ১০ উইকেটে টেস্টটা জিতে চার টেস্টের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ভারত।
কিন্তু যে রকম স্পিনসহায়ক উইকেট বানিয়ে ভারত ইংল্যান্ডকে বশ করেছে, সেটি নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আলোচনা-সমালোচনা চলছে, তাতে এবার যোগ দিয়েছেন ইনজামামও।
ভারতকে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন ‘ইনজি।’ উইকেটের অবস্থা বোঝাতে টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান জো রুটের অবিশ্বাস্য বোলিং কীর্তি টেনে এনে বললেন, রুট যদি এই উইকেটে ৫ উইকেট পান, তা হলে এই উইকেটে ভারতের দুই স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর অক্ষর প্যাটেলের প্রশংসা করার কি আছে?
মাইকেল ভন, ডেভিড লয়েডদের ইংল্যান্ডের সাবেকরা ভারতের এমন পিচ বানানো নিয়ে সমালোচনায় মুখর। আবার ভারতের সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটাররা যুক্তি দেখাচ্ছেন— বিদেশে গেলে ভারতকে যখন পেসসহায়ক পিচে খেলতে হয়, তখন এত আলোচনা কেন হয় না? ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডস আবার ভারতের এমন উইকেট বানানোয় কোনো সমস্যা দেখেন না।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক কিছু প্রশ্ন রেখেছেন— ‘কেউ ভাবতে পারেনি (দুদিনে টেস্ট শেষ হবে)। আমিও মনে করতে পারি না শেষ কবে একটা টেস্ট ম্যাচ দুদিনে শেষ হয়ে গেছে!
এখানে ভারত খুব ভালো খেলেছে নাকি উইকেটের আচরণের কারণে এমনটি হয়েছে? এমন উইকেট কি টেস্টে রাখা উচিত?’ অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারত দারুণ ক্রিকেট খেলেছে জানিয়ে পরে প্রশ্নগুলোর উত্তর ইনজামাম নিজেই দিয়েছেন— ‘ভারত দারুণ ক্রিকেটই তো খেলছিল। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে, (প্রথম টেস্টে হারের পর) দ্বিতীয় টেস্টে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এ রকম একটা উইকেট বানানো? আমার মনে হয় না ক্রিকেটে এমন কিছু করা ঠিক হচ্ছে।’
আইসিসিকে এসব ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা উচিত জানিয়ে ‘ইনজি’ বলেন, ‘এমনকি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের স্কোরকার্ডও তো আহমেদাবাদ টেস্টে আমরা যা দেখেছি তার চেয়ে ভালো হয়। আইসিসির এখানে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এটা কেমন উইকেট যেখানে একটা টেস্ট পুরো দুটি দিনও টিকতে পারে না? একদিনেরও কম সময়ে ১৭ উইকেট পড়ে যায়…কী ধরনের খেলা হচ্ছে এখানে? অবশ্যই সবাই নিজের মাঠের সুবিধা নিতে চাইবে, স্পিনসহায়ক উইকেট বানানোতেও সমস্যা নেই, কিন্তু তাই বলে পিচ এমন হতে পারে না।’
খুলনা গেজেট/কেএম