ভারতে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত হয়েছেন। বাসটিতে ৪০ জনেরও বেশি আরোহী ছিলেন এবং তারা বিয়েবাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বাসটি খাদে পড়ে গেলে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের পাউরি গাড়ওয়ালে সিমদি গ্রামের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বুধবার (৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
উত্তরাখণ্ডের পুলিশ প্রধান অশোক কুমার বার্তাসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ‘ধুমকোটের বিরখাল এলাকায় গতকাল রাতে ঘটে যাওয়া বাস দুর্ঘটনায় ২৫ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। পুলিশ ও এসডিআরএফ রাতেই ২১ জনকে উদ্ধার করেছে; আহতদের পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
দুর্ঘটনার পরপরই হরিদ্বারের এসপি সিটি স্বতন্ত্র কুমার সিং বলেন, ‘এখান থেকে একটি বাসে করে বিয়েবাড়ির উদ্দেশে বহু মানুষ রওনা হয়েছিল। পথিমধ্যে লালধাংয়ে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পাউরি পুলিশ এবং এসডিআরএফ এখনও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাসে নারী ও শিশুসহ প্রায় ৪০ থেকে ৪২ জন আরোহী ছিল। আমরা পাউরি পুলিশ এবং গ্রামবাসীদের সাথে ক্রমাগত যোগাযোগ করছি। এখনও পর্যন্ত ১৫-১৬ জনকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এনডিটিভি বলছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশ এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) ২১ জনকে উদ্ধার করেছে। আহতদের পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, হরিদ্বার জেলার লালধাং থেকে পাউরি জেলার বিরখালে একটি বিয়েবাড়িতে যাচ্ছিল বাসটি। পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ধুমকোট থানার পুলিশ। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকেও খবর দেওয়া হয়।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি রাতেই জানান, ‘ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। উদ্ধারকাজে স্থানীয় গ্রামবাসীরাও সাহায্য করছেন।’
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসেই একই রকম বাস দুর্ঘটনা ঘটেছিল উত্তরকাশী জেলায়। ২৫০ মিটার গভীর খাদে পড়ে গিয়েছিল যাত্রীবোঝাই বাসটি। ওই ঘটনায় মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলার ২৫ জনের মৃত্যু হয়।