কাঠফাটা রোদ! আর সেই রোদ মাথায় নিয়ে চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। সাত দফার এই নির্বাচনে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দ্বিতীয় দফার ভোটে প্রচণ্ড গরমে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতের কেরালায় এমন ঘটনা ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে চারজন ভোটার এবং অপর একজন পোলিং এজেন্ট। বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে এই খবর পাওয়া গেছে।
রাজ্যের ওট্টাপালামে এদিন দুপুরে ভোট দেয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন ৬৮ বছর বয়সী চন্দ্রন নামে এক ভোটার। পরে দ্রুত ওট্টাপালাম স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এদিন সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মাল্লাপুরম জেলার ত্রিরুরে ৬৩ বছর বয়সী এক মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়। তার নাম এ. টি. সিদ্দিকী। তাপপ্রবাহের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিন সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৬০ শতাংশ।
ঠিক একইভাবে ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মৃত্যু হয় ৭৬ বছর বয়সী কোমবোত্তাইল কন্দন নামে ভিলায়োদি এলাকার এক বাসিন্দার। ঘটনাটি ঘটে আলাপ্পুঝা জেলার আমবালাপুঝা এলাকায়। এই এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৬৮ শতাংশ।
এদিকে, শুক্রবার এস.এন.ভিটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩৮ নম্বর বুথে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন কাক্কাঝাম ভেলিপাড়াম্ভু সোমারাজন। এরপর বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৮২ বছর বয়সী ওই ভোটার। পরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
অন্যদিকে, কোঝিকোড় টাউনের ১৬ নম্বর বুথে দায়িত্বে ছিলেন বামেদের জোটের ‘লেফট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’ (এলডিএফ) পোলিং এজেন্ট আনিস আহমেদ। হঠাৎ করেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি ৬৬ বছর বয়সী আনিসকে। এখানে তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৬১ শতাংশ।
খুলনা গেজেট/কেডি