ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ইউরোপ, আমেরিকার বিভিন্ন দেশের মতো ভারতেও ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটা লাগামছাড়া। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দেশটিতে সংক্রমণ ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। এমনকি মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০০-তে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৫৩২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার এই সংখ্যা ছিল প্রায় ২ লাখ ৮৩ হাজার। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৩৫ হাজার বেশি মানুষ বেশি সংক্রমিত হয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যায় মহারাষ্ট্র, কেরালা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, আসাম, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলো এগিয়ে রয়েছে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৯১ জন। বুধবার মৃত্যু হয়েছিল ৪৪১ জনের। করোনা মহামারির শুরু থেকে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৬৯৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
এদিকে সংক্রমণ ও প্রাণহানির সঙ্গে ভারতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণের হারও। বুধবার দেশটির দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ১৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় তা বেড়ে হয়েছে ১৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। আর এটিই বেশি চিন্তায় রাখছে চিকিৎসকদের। ভারতে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ২৮৭ জন করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন।
ভারতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ করোনার সক্রিয় রোগী। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটিতে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৯ লাখ ২৪ হাজার ৫১ জন। যা বুধবারের চেয়ে প্রায় ৯৩ হাজার বেশি। এই সংখ্যাটি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
প্রতিদিনই যেভাবে ভাইরাসে আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে আগামী দিনে ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন প্রায় সোয়া ২ লাখ মানুষ।
এছাড়া ভারতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫৯ কোটি ৬৭ লাখের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাদানের পাশাপাশি আগের মতোই জোরগতিতে চলছে কোভিড পরীক্ষাও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ১৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম