খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রীতি ম্যাচ : মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ, সিরিজ শেষ হলো ১-১ সামতায়
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯৪
  আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার : ড. ইউনূস
  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ

ভারতে ট্রেনে নিরাপত্তাকর্মীর গুলিতে পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতে ট্রেনে নিরাপত্তাকর্মীর গুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন সাধারণ যাত্রী এবং অন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তা। অন্যদিকে অভিযুক্ত নিরাপত্তাকর্মী ভারতের রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স বা আরপিএফ-এর কনস্টেবল।

সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে জয়পুর থেকে মুম্বাইগামী এক্সপ্রেস ট্রেনে এই ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার সকালে মহারাষ্ট্রের পালঘর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ট্রেনে চারজনকে গুলি করে হত্যা করেছে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের (আরপিএএফ) একজন সদস্য। নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক বলে জানানো হয়েছে।

রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের বরাত দিয়ে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ‘জয়পুর এক্সপ্রেস ট্রেনের (১২৯৫৬) ভেতরে গুলি চালানোর ঘটনায় এক এএসআই-সহ চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি ডিসিপি উত্তর জিআরপিকে জানানো হয়েছে।’

এনডিটিভি বলছে, অভিযুক্ত ওই আরপিএফ কনস্টেবলের নাম চেতন কুমার চৌধুরী। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে নিজের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে গুলি চালিয়ে তার এক আরপিএফ সহকর্মী এসকর্ট ডিউটি ​​ইনচার্জ এএসআই টিকা রাম মীনা এবং ট্রেনের অন্য তিন যাত্রীকে হত্যা করেন তিনি। ট্রেনটি জয়পুর থেকে মুম্বাইয়ে যাচ্ছিল। অভিযুক্তকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।

কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আরেক সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, তার সিনিয়রকে হত্যা করার পর অভিযুক্ত ওই কনস্টেবল অন্য একটি বগিতে গিয়ে তিন যাত্রীকে গুলি করে হত্যা করে। সোমবার ভোর ৫টার দিকে দহিসার এবং মীরা রোড স্টেশনের মধ্যবর্তী জায়গায় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে।

ভারতের পশ্চিম রেলওয়ে জানিয়েছে, পালঘর স্টেশন অতিক্রম করার পরে আরপিএফ কনস্টেবল চেতন কুমার চৌধুরী চলন্ত জয়পুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ভেতরে গুলি চালায় এবং চারজনকে হত্যা করার পর দহিসার স্টেশনের কাছে ট্রেন থেকে লাফ দেয়। তবে সরকারি রেল পুলিশ ও আরপিএফ কর্মকর্তাদের সহায়তায় মীরা রোডে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

এএনআই’র এক টুইটে দেখা যাচ্ছে, ট্রেনটি মুম্বাই সেন্ট্রাল স্টেশনে এসে পৌঁছেছে এবং ট্রেনটির বগির গায়ে, জানলার কাচে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে, ঠিক কী কারণে এই কাণ্ড ঘটালেন ওই আরপিএফ জওয়ান, তা এখনও জানা যায়নি।

রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার বিশদ তদন্ত করা হচ্ছে। আটকের পর অভিযুক্ত আরপিএফ কনস্টেবলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এএসআই টিকা রামের সঙ্গে সম্ভবত কোনও বিষয় নিয়ে বিবাদ হয়েছিল ওই কনস্টেবলের।

আর সেটির জেরেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে এর নেপথ্যে অন্য কোনও বিষয় আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!