খুলনা, বাংলাদেশ | ২রা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৫ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ১১৮ বারের মত পেছালো সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
  প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি : হাসিনা-জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

ভারতে ওয়াকফ আইন পাস: প্রথম পদক্ষেপেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হল মাদ্রাসা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতে ওয়াকফ আইন পাস হওয়ার পর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো ‘অবৈধভাবে নির্মিত’ একটি মাদ্রাসা। প্রশাসনের দাবি, অবৈধভাবে জায়গা দখল করে তৈরি করা হয়েছিল ওই মাদ্রাসা। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি নিজে থেকেই ওই মাদ্রাসা ভেঙে ফেলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবৈধভাবে নির্মাণের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক মুসলিম ব্যক্তি। সেই অভিযোগের পর মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি বিষ্ণু দত্ত শর্মা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর মাদ্রাসা কমিটির কাছে নোটিশ পাঠায় প্রশাসন। সেই নোটিশের ভিত্তিতে মাদ্রাসা কমিটিই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলডোজার নিয়ে আসে বলে জানা যাচ্ছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসন এটি ভেঙে ফেলার জন্য পদক্ষেপ নেয়ার আগেই সদ্য পাস হওয়া ওয়াকফ আইনের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি নিজে থেকেই ব্যবস্থা নিয়েছে। পান্নার বিডি কলোনিতে গত ৩০ বছর ধরে অবৈধভাবে চলছিলো মাদ্রাসাটি। বছরের পর বছর ধরে একাধিক নোটিশ জারি করা সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। তবে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রণয়ন এবং কঠোর প্রয়োগের সতর্কতা জারির পর মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্যরা স্বেচ্ছায় কাঠামোটি ভেঙে ফেলার জন্য বুলডোজার ব্যবহার করে।

কর্মকর্তাদের মতে, মাদ্রাসাটি সরকারি জমিতে নির্মিত হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা এবং সমাজকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। এই অভিযোগ সত্ত্বেও, সাম্প্রতিককালে কোনও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

মাদ্রাসা কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, শুরুতে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ওই মাদ্রাসা চালু করা হয়েছিল। পরে এটি পুরসভার অধীনে আসে এবং এই নির্মাণকে অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। গত বেশ কয়েক বছর ধরে এই ইস্যুতে মামলাও চলছিল আদালতে। তবে সাম্প্রতিক আইন অনুযায়ী মাদ্রাসাটি ভাঙা পড়ত। তাই নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে সেটি বুলডোজারে ভেঙে ফেলা হয়েছে।

বিষ্ণু দত্ত শর্মা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ওয়াকফ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে এই ধরনের অপব্যবহার রোখা যাবে। এই ধরনের সম্পত্তিগুলোকে সরাসরি কাজে লাগানো হবে। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের আড়ালে সংগৃহীত তহবিল এখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হবে।’

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

খুলনা গেজেট/জেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!