খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা

গেজেট ডেস্ক

ভারতে অনুপ্রবেশ করায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে জনিক মিয়া (২৩) নামের এক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১৪ মার্চ) সকালে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গারঘাট কোয়ারি নামক স্থানে জনিককে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায় ভারতীয় আক্রমণকারীরা। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত যুবক উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের বড়ছড়া গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে।

জানা যায়, উপজেলার বড়ছড়া সীমান্ত এলাকার স্পাই ইসহাক মিয়ার মাধ্যমে ম্যানেজার বাংলো এলাকা দিয়ে রবিবার রাতে জনিক মিয়াসহ তিনজন ভারতে অনুপ্রবেশ করে। পরে সেখানকার স্থানীয় যুবকরা তাকে চোর সন্দেহে পিটিয়ে জিরো পয়েন্টের ভাঙ্গারঘাট কোয়ারি নামক স্থানে সকালে ফেলে রেখে যাওয়ার পর স্থানীয় এলাকাবাসী দেখতে পায়।

পরে তারা পরিবারকে খবর দিলে পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎস তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বাবা জিল্লুর রহমান বলেন, রবিবার রাতের খাবার খেয়ে ছেলে বাড়ির বাইরে যায়। এরপর আজ সোমবার সকালে বড়ছড়া সীমান্ত এলাকায় তাকে পাই। পরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

জানতে চাইলে বড়ছড়া বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আব্দুস ছাত্তার জানান, তিনি এ ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেন না।

স্থানীয় ব্যক্তিরা ক্ষোভের সঙ্গে জানান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহযোগিতায় ভারতীয়দের অমানুষিক নির্যাতনে যুবক নিহতের ঘটনাটি গেছে। এভাবে নির্যাতন না করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে পারত। আইন নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে এভাবে যারা এই জঘন্য কাজটি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল (ওসি) লতিফ তরফদার জানান, ভারতে অনুপ্রবেশ করায় তাহিরপুর সীমান্তের জনিক মিয়া নামে বাংলাদেশি এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। কেন ও কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ধরনের একটি ঘটনা শুনেছি। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনা গেজেট/এএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!