পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ভারতের হামলাকে ‘অবৈধ কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে ভারত পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার আইন স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করেছে- যা আন্তর্জাতিক আইনে যুদ্ধ সংগঠিত হওয়ার শামিল বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। বুধবার (৭ মে) পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পিটিভির বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে ডন।
ডন ওই প্রতিবেদনে জানায়, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ বলছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী নিরীহ নারী ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালিয়েছে; এটি একটি জঘন্য ও লজ্জাজনক অপরাধ। ভারতের এমন কর্মকাণ্ড মানবতার সব নিয়ম এবং আন্তর্জাতিক আইনের বিধান লঙ্ঘন করেছে।
ভারত মঙ্গলবার মধ্যরাতে শুরু করে ‘অপারেশন সিন্দুর’। পাকিস্তান এবং পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা করার লক্ষ্য নিয়েই অভিযান শুরু করে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরসহ দেশটির কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত।
দিল্লি বলেছে, তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে ‘নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক ও পরিমিত’ হামলা চালিয়েছে।
ভারতের হামলা হওয়ার কথা স্বীকার করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে, অন্তত ২৬ নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, পাকিস্তানে হামলায় অন্তত ৭০ জন সন্ত্রাসী নিহত এবং আরও ৬০ জনের বেশি আহত হয়েছেন, যা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ডে ‘বড় ধরনের ধাক্কা’ দিয়েছে।
এছাড়া, ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় গোলাগুলিতে কমপক্ষে সাতজন নিহত এবং অন্তত ৩২ জন আহত হয়েছেন বলে এক ভারতীয় শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এএজে