ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে চলমান সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ৫৪ জন নিহত হয়েছেন। মণিপুরের মেতাই জাতিকে তফসিলি উপজাতি স্বীকৃতি দেয়ার আভাস পাওয়ায় ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যটির আট জেলায়। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
জ্বালাও-পোড়াও দমনে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। মোতায়েন করা হয়েছে সেনাসদস্যদের। রাস্তায় নেমেছে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সও।
রাজ্য পুলিশ এএফপিকে জানায়, শুক্রবার রাতে নতুন করে সহিংসতার ঘটনা ঘটলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অন্যদিকে দ্য প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া বলেছে, রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলের হাসপাতালগুলোর মর্গে এবং আরও দক্ষিণে চূড়াচাঁদপুর জেলার হাসপাতালের মর্গগুলোতে মোট ৫৪টি মরদেহ এসেছে।
রাজ্যটিতে মূলত ৬০ শতাংশ মানুষই আদিবাসী সম্প্রদায়ের। ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, মণিপুরে মেতাই সম্প্রদায়কে আদিবাসী তফসিলি উপজাতি হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সম্প্রদায়টি বিগত ১০ বছর ধরে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল।
মেতাইদের যাতে আদিবাসী স্বীকৃতি দেয়া না হয়, তারই দাবিতে বুধবার (০৩ মে) রাজ্যটির চূড়াচাঁদপুর জেলায় মিছিল বের করে আদিবাসী ছাত্র সংগঠন এটিএসইউএম। আদিবাসীদের দাবি, মেতাইদের তফসিলি স্বীকৃতি দিলে মণিপুরের প্রকৃত আদিবাসীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে।
সেনাবাহিনী ও কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনী শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষকে উপদ্রুত এলাকাগুলো থেকে সরিয়ে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পুলিশ মহানির্দেশক পি ডউঙ্গেল। প্রায় এক হাজার জন মণিপুর থেকে আসামের কাছাড় জেলায় আশ্রয় নিয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড